পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২০৭। কিন্তু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা এমফিল-এ ভর্তির পরীক্ষায় পাশ করেছেন মাত্র দু’জন! তবে বাংলা বিভাগ সূত্রের খবর, অকৃতকার্য বেশ কিছু প্রার্থীকে পাশ করানোর তদ্বির-তদারকিও শুরু হয় গিয়েছে।
বাংলা এমফিলের ভর্তি-পরীক্ষার ফল ঘিরে কয়েক বছর ধরেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। এই বিষয়ে খোদ উপাচার্যকে পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। ২০১৭ সালে গোলমাল তুঙ্গে ওঠে। অভিযোগট ওঠে, যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের বিদায়ী কমিটির বেশ কয়েক জনকে বাংলা বিভাগের এমফিলে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। তার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বাংলার এমফিল কমিটির কো-অর্ডিনেটর নন, এই বিষয়ে প্রবেশিকা পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন বাংলার বিভাগীয় প্রধান। এবং খাতা দেখবেন বাইরের পরীক্ষকেরা। এ বারেও সেই নিয়মেই পরীক্ষা হয়েছে। শিক্ষা সূত্রের খবর, ২০৭ জনের মধ্যে পাশ করেছেন দু’জন। সেই দু’জনের মধ্যে এক জন সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী।
যাঁরা শুধু এমএ পাশ, এমফিল করার জন্য ভর্তির পরীক্ষা দিতে হয় শুধু তাঁদেরই। যে-সব প্রার্থী ইতিমধ্যে নেট বা স্লেট পাশ করেছেন, তাঁরা সরাসরি ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে এমফিলে ভর্তি হতে পারেন। এ বার সারাসরি ইন্টারভিউ দিতে পারবেন ৩৬ জন। আর ভর্তির পরীক্ষায় পাশ করে ইন্টারভিউ দেবেন মাত্র দু’জন।