TMC

TMC: এলাকা দখলের জেরেই কি খুন তৃণমূলের যুবনেতা? ক্যানিংয়ে উঠছে প্রশ্ন

স্থানীয়দের একাংশের দাবি, নিকারিঘাটা অঞ্চলের যুব তৃণমূল সভাপতি ছিলেন মহরম। কিন্তু এই এলাকায় শৈবালের অনুগামী রফিকের প্রভাব ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বারুইপুর শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২১ ২০:২৮
Share:

দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে মহরম শেখ (ইনসেটে)-কে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। —নিজস্ব চিত্র।

এলাকা দখলের জেরেই কি নিহত ক্যানিংয়ে তৃণমূলের যুবনেতা মহরম শেখ? শনিবার সন্ধ্যায় মহরমের উপর দুষ্কৃতীদের হামলা পর উঠছে প্রশ্ন।এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তবে তা অস্বীকার করেছে শাসকদল। হামলার পিছনে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে তৃণমূল। যদিও ঘটনায় পর থেকেই মূল অভিযুক্ত রফিক শেখ পলাতক।

Advertisement

শনিবার সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে ১ নম্বর ব্লকের সাতমুখী ব্লকে মহরম (৩২)-কে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ নেতাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানেই গভীর রাতে মারা যান তিনি। ইতিমধ্যেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ক্যানিং-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শৈবাল লাহিড়ির অনুগামী বলে পরিচিত তথা মূল অভিযুক্ত রফিক অধরা।

স্থানীয়দের একাংশের দাবি, নিকারিঘাটা অঞ্চলের যুব তৃণমূল সভাপতি ছিলেন মহরম। কিন্তু এই এলাকায় শৈবালের অনুগামী রফিকের প্রভাব ছিল। ইদানীং রফিক এবং মহরমের দ্বন্দ্বও প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। এলাকায় কার প্রভাব থাকবে তা নিয়েই দু’জনের মধ্যে রেষারেষি চলছিল বলে অভিযোগ। শনিবারের ঘটনার পর শৈবালের খোঁজে দলীয় কার্যালয়ের যান বেশ কয়েক জন যুব তৃণমূলকর্মী। কিন্তু শৈবাল অনুপস্থিত ছিলেন। এর পর কিছু ক্ষণের জন্য দলীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন তাঁরা।

নিহতের পরিবারের দাবি, গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও মহরমকে খুনের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সে সময় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। অভিযোগ, এ নিয়ে নালিশ জানালেও কর্ণপাত করেনি পুলিশ। যদিও হামলার পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভি-র ফুটেজ দেখা গিয়েছে যে অটো থেকে নেমে মহরমকে গুলি করে পালাচ্ছে তিন দুষ্কৃতী। ইতিমধ্যেই এলাকার একটি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শুরু হয়েছে তল্লাশি। যে অটোতে করে দুষ্কৃতীরা এসেছিল, তারও খোঁজ চালানো হচ্ছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করেন ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন, ‘‘এলাকার ভাল সংগঠক হিসেবে পরিচিত ছিলেন মহরম। তাই তাঁকেই খুন করল দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় যাঁরা জড়িত থাকবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন