হলফনামা দিলে প্রি-কাউন্সেলিং

সম্প্রতি স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছিল, ডাক্তারির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা ‘এনইইটি’র আবেদনপত্রে যাঁরা নিজেদের পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন, তাঁরাই কেবল এমবিবিএস ও ডেন্টালে ভর্তির প্রি-কাউন্সেলিংয়ে যোগ দেবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৯ ০১:০১
Share:

অবস্থান বদল করে প্রি-কাউন্সেলিং ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্কে ইতি টানার চেষ্টা করল স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়। সর্বভারতীয় ডাক্তারি পরীক্ষার আবেদনপত্রে যে সকল ছাত্রছাত্রী ‘স্টেট অব এলিজিবিলিটি’তে এ রাজ্যের নাম লেখেননি, তাঁদেরও রাজ্য কোটার প্রি-কাউন্সেলিংয়ে যোগ দেওয়ার সুযোগ দিয়ে শনিবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

সম্প্রতি স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছিল, ডাক্তারির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা ‘এনইইটি’র আবেদনপত্রে যাঁরা নিজেদের পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন, তাঁরাই কেবল এমবিবিএস ও ডেন্টালে ভর্তির প্রি-কাউন্সেলিংয়ে যোগ দেবেন। তার প্রতিবাদ জানিয়ে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গত তিন দিন ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন সর্বভারতীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য ছিল, তাঁরা এ রাজ্যেরই বাসিন্দা। সর্বভারতীয় স্তরে সংরক্ষিত ১৫ শতাংশ আসনে সুযোগ পেতে তাঁরা ‘স্টেট অব এলিজিবিলিটি’-তে পশ্চিমবঙ্গের পরিবর্তে অন্য রাজ্যের নাম লিখেছেন।

বিক্ষোভ শুরু হওয়ায় ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে (এনটিএ) ওই ছাত্রছাত্রীদের কথা বিবেচনা করতে বলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এনটিএ জানায়, পরীক্ষার আবেদনে প্রার্থীরা স্টেট অব এলিজিবিলিটি-তে যে রাজ্যের নাম উল্লেখ করেছিলেন, সেটি কেবল ১৫ শতাংশ সর্বভারতীয় কোটার জন্য। ডোমিসাইলের
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট রাজ্য ঠিক করবে। ফলপ্রকাশের পরে কোনও প্রার্থীর ‘ডোমিসাইল স্টেটাস’ পরিবর্তন হবে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের কাউন্সেলিং কর্তৃপক্ষের কোর্টেই বল ঠেলে এনটিএ। এর পর বিকেলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, আগামী মঙ্গলবার ডোমিসাইল নথি যাচাইয়ের জন্য ওই প্রার্থীদের কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে হাজির হতে হবে। অন্য কোনও রাজ্যের কোটার জন্য তাঁরা যে আবেদন করবেন না, তা দশ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।
এই প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসাবে আজ, রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত প্রি-কাউন্সেলিংয়ে রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ বাড়ানো হয়েছে।

Advertisement

স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজেন পাণ্ডে বলেন, ‘‘৪০-৪২ জন ছাত্রছাত্রীকে একটা সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’’ যদিও এই অবস্থান বদলের জেরে স্বজনপোষণ এবং দুর্নীতির আশঙ্কা করছেন ডিএসও নেতা কবিউল হক এবং এসএফআইয়ের রাজ্য কমিটির সদস্য দীপক সিংহ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন