আন্দোলনে সামিল পার্শ্ব শিক্ষকদের শো-কজ নয়, ব্যাখ্যা পার্থর

সোমবার শিক্ষা দফতর থেকে আন্দোলনে সামিল পার্শ্বশিক্ষকদের শো-কজ করা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:২৪
Share:

—ফাইল চিত্র।

স্কুলে না এসে, ছাত্রদের বঞ্চিত করে পার্শ্ব শিক্ষকেরা কেন রাস্তায় আন্দোলন চালাচ্ছেন, তার কারণ জানতে চাওয়া হতেই পারে বলে মন্তব্য করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

সোমবার শিক্ষা দফতর থেকে আন্দোলনে সামিল পার্শ্বশিক্ষকদের শো-কজ করা হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করে মঙ্গলবার পার্থবাবু বলেন, ‘‘৪০-৫০ হাজার পার্শ্ব শিক্ষক আছেন। কিছু অবস্থান করছেন। বাকিরা কোথায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কেন অনুপস্থিত, তা জানার অধিকার নেই আমার? একে শো-কজ কেন বলব? এই শিক্ষকরা কোথায়, তা খোঁজ নিতেই বলেছি আমি। ছাত্ররা ক্লাসে বসে থাকবে আর শিক্ষকেরা অনুপস্থিত থাকবেন, এ কোন পরিস্থিতি?’’ তবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, পার্শ্ব শিক্ষকদের আর্থিক দাবি-দাওয়ার প্রেক্ষিতে শীঘ্রই অবস্থান স্পষ্ট করবে শিক্ষা দফতর।

আন্দোলনে নামার আগে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের বিষয়টি জানানো হয়েছিল বলে এ দিনই দাবি করেছেন পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আন্দোলন শুরুর আগে রাজ্য প্রকল্প অধিকর্তা এবং জেলার প্রকল্প আধিকারিকদের বিষয়টি জানানো হয়েছিল।’’ কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলে তাঁরা আদালতে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। অন্য এক যুগ্ম আহ্বায়ক মধুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘আমরা তো ২৩ দিন ধরে বিকাশ ভবনের ৫০০ মিটারের মধ্যেই অবস্থান করছি। কোথায় আছি, এই খোঁজ নিতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী একদিন তো আমাদের মঞ্চে আসতেই পারতেন। সহানুভূতির মাধ্যমে জানতে চাওয়া আর শো-কজের ফারাক তো আমরা বুঝি।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: সেনেট আজ বসছে না, ব্যাখ্যা নয় ধনখড়কে

শো-কজের নির্দেশ দেওয়ার পরে আন্দোলনকারী ও সরকারের সঙ্গে সংঘাত আরও বেড়েছে। এ দিন থেকে সরকারি চিকিৎসা পরিষেবাও প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা। ভগীরথবাবু জানান, তাঁদের পাঁচ জন আন্দোলনকারী অসুস্থ। এত দিন তাঁদের বিধাননগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু সরকারি চিকিৎসা তাঁরা নেবেন না। প্রত্যেককেই বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

পূর্ণ সময়ের শিক্ষকের মর্যাদা, নির্দিষ্ট বেতনহারের দাবিতে ১১ নভেম্বর থেকে আন্দোলনে নেমেছেন পার্শ্ব শিক্ষকেরা। ১১ নভেম্বর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত কারা অনুমতি ছাড়াই গরহাজির, তা সমগ্র শিক্ষা মিশন জানতে চেয়েছিল। ২২ নভেম্বরের পরেও যাঁরা গরহাজির তাঁদের শো-কজের চিঠি ধরানো হবে বলে স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন