পার্টিকে দিলে টাকা মেরে দেবে, নালিশ পার্থকেই

এসেছিলেন বাস দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিজনদের পাশে থাকার বার্তা দিতে। কিন্তু রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের সেই সফরে এমনই সব ক্ষোভের কথা শুনতে হল তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চন্দ্রকোনা রোড ও শালবনি শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৮ ০৪:১৮
Share:

আঁচ: নালিশ শুনছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

কেউ বলে বসলেন, ‘‘আর্থিক সাহায্য দিলে পার্টির হাতে দেবেন না। তাহলে সব মেরে দেবে।’’ কারও আবার নালিশ, ‘‘নেতাদের ২০ হাজার টাকা না দিলে সরকারি প্রকল্পে ঘর মেলে না।’’

Advertisement

এসেছিলেন বাস দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিজনদের পাশে থাকার বার্তা দিতে। কিন্তু রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের সেই সফরে এমনই সব ক্ষোভের কথা শুনতে হল তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সব শুনে অসন্তোষ চেপে রাখেননি পার্থবাবুও। শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোকে তাঁর ধমক, “তোমরাই তো বারোটা বাজাচ্ছো। দলের সম্পর্কে মানুষের এ রকম ধারণা হবে কেন?” পাশে তখন মুখ নীচু করে দাঁড়িয়ে জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, দলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতিরা।

বেলপাহাড়িতে যাওয়ার পথে শনিবার লালগড়ে বাস উল্টে ৬ জন মারা যান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই মৃতদের পরিজনেদের সঙ্গে দেখা করেন পার্থবাবু। প্রথমে যান চন্দ্রকোনা রোডের বুড়ামারায় মৃত বাসু কিস্কুর বাড়িতে। বাসুর স্ত্রী লক্ষ্মীমণি কিস্কুকে তিনি বলেন, “সরকার পাশে আছে। বাচ্চাদের পড়াশোনার ব্যবস্থা ও অর্থসাহায্য সব করা হবে।” তখনই লক্ষ্মীমণির আর্জি, “টাকা পার্টির হাতে দেবেন না। কিছু পাব না। সব মেরে দেবে।” সরাসরি সাহায্যের কথা বলেন মৃত লক্ষ্মণ কিস্কুর স্ত্রী মামনিও। পরে শালবনির বয়লায় এসে মৃত ভগীরথ বেসরার স্ত্রী পানমণি বলেন, “একটা ঘর হলে ভাল হয়। অনেক বলেও পাইনি।” তখনই এক যুবকের নালিশ, “ঘর করাতে নেতাদের ২০ হাজার টাকা দিতে হয়।” শ্রীকান্তর কাছে পার্থবাবু জানতে চান, “ঘর পায়নি কেন?” আমতা আমতা করে বিধায়কের জবাব, “ঘর হয়ে যাবে।” এ দিন শালবনিতেও পার্থবাবু বলেন, “আমি সবটাই দেখব। সরকারের ও দলের বদনাম করা যাবে না।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন