পার্থ চট্টোপাধ্যায়
স্কুলের একাদশ-দ্বাদশ স্তরে যে-সব হবু শিক্ষককের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, তাঁদের নিয়োগ করতেই হবে। অন্যথা হলে সংশ্লিষ্ট স্কুল-কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে রাজ্য সরকার। সোমবার এমনই কড়া বার্তা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে নবম-দশম স্তরে কাউন্সেলিং শেষ হলেও পুরো তালিকা খতিয়ে দেখার আগে নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
এ দিন একাদশ-দ্বাদশ স্তরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে নিয়োগপত্র পাওয়া হবু শিক্ষকেরা স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর সামনে জমায়েত করেন। তাঁদের অভিযোগ, নিয়োগপত্র পেয়ে স্কুলে কাজে যোগ দিতে গেলেও তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ কথা শুনে মন্ত্রী বলেন, ‘‘যাঁরা নিয়োগপত্র পেয়েছেন, তাঁদের স্কুলে যোগ দিতে বাধা দেওয়া যাবে না। যে-সব স্কুল এটা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত প্রতিটি স্কুলে কত শিক্ষক রয়েছেন এবং শূন্য পদ কত, তার তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। নবম-দশম স্তরে কাউন্সেলিং শেষ হয়েছে। ৪২ দিনের মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার কথা। কিন্তু ১৯ সেপ্টেম্বর কাউন্সেলিং শেষ হলেও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। মন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘শূন্য পদের পুরো তালিকা খতিয়ে দেখে তবেই চূড়ান্ত নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। তার আগে নয়। দেখতে হবে, যে-সব শূন্য পদে নিয়োগ হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট স্কুলে সেই পদ আদৌ রয়েছে কি না!’’
ইসলামপুরে দাড়িভিট স্কুলে গোলমালের পরেই জেলা স্কুল পরিদর্শকদের সঙ্গে বৈঠকে সব জেলাতেই শূন্য পদের তালিকায় গরমিল ধরা পড়ে। ফের তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তাই নবম-দশম স্তরে নিয়োগের ক্ষেত্রে সময় লাগবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।