সাফল্যের কী দাওয়াই, মত চাইলেন পার্থ

মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফল করছে পড়ুয়ারা। কিন্তু তার পরে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে লড়াইয়ে অনেকেই পিছিয়ে পড়ছে। সর্বভারতীয় স্তরের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এ রাজ্যের শিক্ষার্থীরা যাতে এঁটে উঠতে পারে, তার জন্য সকলের সাহায্য চাইলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতী ছাত্রদের সংবর্ধনা আসরে রবিবার গিয়েছিলেন পার্থবাবু। তিনি নিজেও ওই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র। সেই অনুষ্ঠানেই সর্বভারতীয় স্তরে জয়েন্টের মতো পরীক্ষায় বাংলার আরও সাফল্যের দাওয়াই সন্ধানে মিশন কর্তৃপক্ষ-সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৫ ০৪:৪০
Share:

নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে উচ্চ মাধ্যমিকের কৃতীদের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রয়েছেন সেক্রেটরি মহারাজ স্বামী সর্বগানন্দ। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল

মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফল করছে পড়ুয়ারা। কিন্তু তার পরে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে লড়াইয়ে অনেকেই পিছিয়ে পড়ছে। সর্বভারতীয় স্তরের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এ রাজ্যের শিক্ষার্থীরা যাতে এঁটে উঠতে পারে, তার জন্য সকলের সাহায্য চাইলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতী ছাত্রদের সংবর্ধনা আসরে রবিবার গিয়েছিলেন পার্থবাবু। তিনি নিজেও ওই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র। সেই অনুষ্ঠানেই সর্বভারতীয় স্তরে জয়েন্টের মতো পরীক্ষায় বাংলার আরও সাফল্যের দাওয়াই সন্ধানে মিশন কর্তৃপক্ষ-সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। পরে পার্থবাবু বলেন, ‘‘নিশ্চয়ই কিছু ত্রুটি আছে বলে এমন হচ্ছে। মাঝে দীর্ঘ দিন ইংরেজি তুলে দেওয়ার ত্রুটির কথা আমি নিজেই বলেছি। নানা চেষ্টায় আগের চেয়ে সর্বভারতীয় স্তরে ফল এখন একটু ভাল হয়েছে। আমাদের এখানে প্রশ্নের ধাঁচও পাল্টানো হচ্ছে। তবু আরও ভাল করতে সকলের মতামত ও সহযোগিতা চাই।’’ প্রসঙ্গত, এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় প্রথম দশে ২১ জনের নাম রয়েছে। তার মধ্যে নরেন্দ্রপুরেরই ১৯ জন!

শিক্ষা মহলের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বোর্ডে পাশের হার এ রাজ্যের থেকে বেশি। এখন এ রাজ্যের পরীক্ষাতেও প্রশ্নের ধরন পাল্টে ছোট প্রশ্ন এনে পাশের হার বাড়ানো হয়েছে। তাতেও সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে এ রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ সাফল্য অধরা। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যেও এ দিন এই বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক কর্তা বলেন, ‘‘এখন পাঠ্যক্রম পাল্টাচ্ছে। প্রশ্নের ধাঁচও বদলে ফেলা হয়েছে। সব রকমই চেষ্টা চলছে।’’ তবে শিক্ষকদের একাংশের মতে, পড়ানোর পদ্ধতিও ও অন্যান্য কিছু সমস্যার সমাধান না হলে ছাত্রছাত্রীদের সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে লড়াইয়ের উপযুক্ত মানসিকতা তৈরি করানো যাবে না।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিবারেন্দু চৌধুরীর মতে, প্রধান সমস্যা তিনটি। পাঠ্যক্রম, শিক্ষক, খাতা দেখা ও সঠিক মূল্যায়ন। শিক্ষা মহলের একাংশের মতে, এর সঙ্গেই দরকার পরিকাঠামো উন্নয়ন। পাশাপাশি অনেকর মতে, ইংরেজি ভাযার উপরে দখল না থাকায় উত্তর জেনেও পড়ুয়াদের অনেকে নিজেদের দক্ষতা প্রকাশ করতে পারছে না। প্রসঙ্গত, নরেন্দ্রপুর কর্তৃপক্ষ এ দিন শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন মিশনের বিবেকানন্দ শতবার্ষিকী হলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা চালু করার জন্য। শিক্ষামন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে তিনি ব্যবস্থা করবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন