ফাইল চিত্র।
নবান্নের অভিযোগ উড়িয়ে সেনাবাহিনীর সাংবাদিক বৈঠকের পর মুখ খুলল রাজ্য সরকারও। পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ফের এক বার দাবি করলেন, কোনও রকম অনুমতি ছাড়াই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সেনা নেমেছে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি কিছু না বললেও তোপ দাগলেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সকালে বাহিনীর তরফে দাবি করা হয়, পশ্চিমবঙ্গ-সহ সাত রাজ্যে নিয়মমাফিক এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে রাজ্যকে জানিয়েই। দাবির সমর্থনে নথি পেশ করে সেনা। সেনার বক্তব্যের সমর্থনে সংসদে মুখ খোলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পার্রীকরও। সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেও কোনও নথি কিন্তু এ দিন পেশ করেননি শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর দাবি, “নোট বাতিল করে এখন ব্যাকফুটে কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবাদের উত্তর গণতান্ত্রিক ভাবে দিতে না পেরে প্রতিশোধ নিতে সেনার সাহায্য নিচ্ছে কেন্দ্র। এই ঘটনা শুধুমাত্র নিন্দনীয়ই নয়, নজিরবিহীনও বটে। সেনার বিবৃতির আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বিবৃতি দেওয়া দেওয়া উচিত ছিল।” নবান্ন থেকে যে কোনও অনুমোদন নেওয়া হয়নি ফের এক বার তা দাবি করে পার্থ বলেন, “মুখ্যসচিব রাতেই কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে বার্তা পাঠিয়ে বলেছেন, এই ঘটনা অভূতপূর্ব। আমাদের কাছে প্রমাণও রয়েছে যে কোনও অনুমোদন নেওয়া হয়নি। এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় মারাত্মক আঘাত।”
সেনাকে লেখা লালবাজারের সেই চিঠি।
শিক্ষামন্ত্রী কিছু না বললেও বিদ্যাসাগর সেতুর কাছে সমীক্ষা করার অনুমতি যে রাজ্য সরকার দেয়নি, তার একটি নথি এ দিন প্রকাশ্যে এসেছে। ২৫ তারিখে লালবাজার থেকে পাঠানো সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, অত্যন্ত ব্যস্ত ওই জায়গায় সমীক্ষার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। সেনাকে অন্য কোনও জায়গা খুঁজে নিতে অনুরোধও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
সবই জানত রাজ্য প্রশাসন, মমতার অভিযোগ উড়িয়ে বলল সেনা
৩০ ঘণ্টা পর নবান্ন ছেড়ে মমতা বললেন কেন্দ্র মিথ্যা বলছে, দাম্ভিক সরকার