সামসুদ্দিনের ‘অভিনয়ে’ তাজ্জব পুলিশ

দোষীর সাজা চান মা

হাওড়ার ডোমজুড় থানা থেকে শুক্রবার রাতে ফোন যায় চাকদহে পার্থর বাড়িতে। শনিবার সকালে তাঁর বাবা পঙ্কজ চক্রবর্তী, কাকা মুকুন্দ চক্রবর্তী-সহ পরিবারের অনান্য সদস্যরা হাওড়ার মল্লিক ফটক মর্গে গিয়েছিলেন।

Advertisement

সৌমিত্র সিকদার

রানাঘাট শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৪৭
Share:

ধৃত সামসুদ্দিন। নিজস্ব চিত্র

খণ্ড-বিখণ্ড দেহ দাহ করার সময় মুখাগ্নি করা যায়নি। অবশেষে শুক্রবার রাতে ব্যাঙ্ক কর্মী পার্থ চক্রবর্তীর পরিবার জানতে পারল, ছেলের মাথা পাওয়া গিয়েছে।

Advertisement

হাওড়ার ডোমজুড় থানা থেকে শুক্রবার রাতে ফোন যায় চাকদহে পার্থর বাড়িতে। শনিবার সকালে তাঁর বাবা পঙ্কজ চক্রবর্তী, কাকা মুকুন্দ চক্রবর্তী-সহ পরিবারের অনান্য সদস্যরা হাওড়ার মল্লিক ফটক মর্গে গিয়েছিলেন। পার্থর কাকা মুকুন্দ বলেন, “পার্থর দেহের সব অংশ পাওয়া গিয়েছে। আমরা তা শনাক্ত করেছি। এ দিন পুলিশের কাছে খবর পাওয়ার পর আমরা সরাসরি মর্গে যাই।”

কী জন্য পার্থকে এমন নৃশংস ভাবে খুন হতে হল, তা এখনও জানে না তাঁর পরিবার। ছেলেকে টুকরো টুকরো করে কেটে খুন করা হয়েছে। কী দুঃসহ যন্ত্রণা তাঁকে ভোগ করতে হয়েছে, সে কথা ভেবে শিউরে উঠছেন পার্থের মা মনিকা চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “আমার ছেলে কী এমন অপরাধ করেছিল যে, তাকে এমন নৃশংশ ভাবে খুন করা হয়েছে। আমি দোষীদের চরম শাস্তি চাইছি। যারা আমার ছেলেকে খুন করেছে, তাদের যেন চরম শাস্তি হয়। তবেই আমি শান্তি পাব।” চরম শাস্তির দাবি তুলেছেন পার্থর কাকাও। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। শুনেছি, ভাইপোর খুনের ঘটনায় কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দোষীদের চরম শাস্তির দাবি জানিয়েছি।”

Advertisement

চাকদহের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের গৌরপাড়া এলাকায় বাড়ি বছর সাতাশের পার্থের। তাঁর দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাবা পঙ্কজ চক্রবর্তী ভারতীয় জীবন বীমার এজেন্ট। দিদি গায়ত্রী রায় বলেন, “প্রতি সোমবার ভোড় চারটে নাগাদ ট্রেন ধরে কাজে যেত ভাই। সাড়ে তিনটের সময়ে বাবা তাকে চাকদহ রেল স্টেশনে পৌঁছে দিত। আজ বার বার ওই দিনগুলির কথা মনে পড়ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন