রাম-রাজনীতির ‘চাপে’ তৃণমূলের জনমুখী বিভিন্ন প্রকল্প গুরুত্ব হারাতে পারে বলে দলের একাংশ চিন্তিত। তাঁদের মতে, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুজসাথীর মতো বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরা রাম-রাজনীতির মোকাবিলায় কার্যকর হতে পারে। তাই দলের সে দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি ও তার সহযোগীরা রাম-রাজনীতি নিয়ে মাঠে নামার পরে তৃণমূলও মাঠে নামতে বাধ্য হয়েছে। এক অর্থে তৃণমূলকে তারা টেনে মাঠে নামিয়েছে। ফলে রাজনীতি ‘ধর্মের শিকার’ হয়ে উঠছে। শাসকদলের অন্দরেও এই বিষয়টি নিয়ে চর্চা চলছে।
কী ভাবছেন দলীয় নেতৃত্ব? এই কর্মসূচির ভাগ পেতে মাঠে নামলেও তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে দলেরই একাংশে। দক্ষিণবঙ্গে শাসকদলের এক গুরুত্বপূর্ণ নেতার কথায়, ‘‘সব ধর্মের মানুষের আবেগ, বিশ্বাসের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। সে কথা মাথায় রেখেই দল পথে নেমেছে।’’ তবে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সোমবার বলেন, ‘‘সরকারের দু’টাকা কেজি চাল বিলি, বিনা খরচে শিক্ষা, চিকিৎসা, কন্যাশ্রী, সবুজসাথীর মতো জনমুখী প্রকল্পই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক লড়াই হবে সে সবের ভিত্তিতেই। সতর্ক থাকতে হবে।’’
আরও পড়ুন: মমতার গাড়ির পিছনে বাইক ছুটিয়ে শ্রীঘরে
দলের রামনবমীর কর্মসূচি সম্পর্কে পার্থের ব্যাখ্য, ‘‘তৃণমূল সর্বধর্মের কথা বলে। তা নিয়ে রাজনীতি করে না। তা ছাড়া রামনবমীর কর্মসূচি কারও একার হতে পারে না।’’ প্রশ্ন উঠেছে সেই আদর্শ মেনে তাহলে এতদিন তৃণমূল ঢাকঢোল পিটিয়ে রামনবমী পালন করে নি কেন। এখন যা হচ্ছে তা কী রাজনৈতিক জচাপে পড়ে নয়? সরকারিভাবে এর কোনও জবাব মেলেনি। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুন মেরুকরণ নিয়ে পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করছেন জেলার দলীয় বিধায়ক, পর্যবেক্ষকেরাও। ধর্মীয় ভাবনা থেকে অশান্তি হলে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও চিন্তায় রাখছে দলীয় নেতৃত্বকে।