চন্দন ষড়ঙ্গীর স্মরণ সভায় শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র
জঙ্গলমহলে পুরনো পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে। তাই দলীয় কর্মী থেকে এলাকাবাসী সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। জামবনির দুবড়া গ্রামে নিহত তৃণমূল নেতা চন্দন ষড়ঙ্গীর স্মরণে শুক্রবার আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে শুভেন্দু বলেন, “বাম আমলে এখানে জঙ্গলের রাজত্ব তৈরি হয়েছিল। কেউ বা কারা পুরনো পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।’’
এই ‘কেউ বা কারা’-র পরিচয়ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “সিপিএমের গুন্ডারা এখন নব্য বিজেপি। এরা কেশিয়াড়িতে খুন করেছে। এদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, বিচ্ছিন্ন ভাবে একটা দুটো টার্গেট করে রাতের অন্ধকারে খুন করে দিয়ে ভয় দেখানো।” জঙ্গলমহলে মাওবাদী সন্ত্রাস পর্বের সময়কার বছর-ভিত্তিক খুনের পরিসংখ্যান দিয়েছেন মন্ত্রী। জঙ্গলমহলবাসীর প্রতি তাঁর আবেদন, “ঐক্যবদ্ধ থাকুন, আর একটাও খুন হতে দেব না।”
গত ২৭ অগস্ট দুবড়ার পার্টি অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন চন্দন। পরের দিন সকালে ঝাড়গ্রামের সত্যারডিহিতে ধান খেতের পাশে মিলেছিল তাঁর নলি কাটা দেহ। এই ঘটনার পর স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক হয়ে ঘোরাফেরার বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। এ দিনও একই পরামর্শ দিতে শোনা গিয়েছে শুভেন্দুকে। তাঁর অভিযোগ, “বাইরে থেকে সুপারি কিলারদের ভাড়া করে এনে খুন করে তৃণমূলকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা হচ্ছে।” এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে দাড়িভিটের ঘটনার কথা উল্লেখ করেন।
এ দিনের রাবণ পোড়া মাঠের সভায় চন্দনের স্ত্রী শ্যামলীর হাতে দলের তরফে তিন লক্ষ টাকা সাহায্য তুলে দেন শুভেন্দু। কথা থাকলেও এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শাসক দল সূত্রের খবর, অসুস্থ থাকায় হাজির হতে পারেননি তিনি।