বিমল গুরুঙ্গ।
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালেই আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এমনই আশায় বুক বাঁধছে ৫৮ দিন ধরে বন্ধে বিপর্যস্ত দার্জিলিং। মোর্চার অন্দরের খবর, রাজ্যের চিঠি পেলে আলোচনার সূত্রপাত হতে পারে। মোর্চার এক নেতা জানান, অতীতে আন্দোলনের সময়ে জেলাশাসকের মাধ্যমেও আন্দোলনকারীদের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তা হবে কি না তা নিয়েও খোঁজখবর করছেন মোর্চার অনেকেই।
তবে গোড়া থেকেই বিমল গুরুঙ্গ যে হেতু কেন্দ্র ছাড়া কারও সঙ্গে কথা নয় বলে দাবি করেছেন, সেটা মাথায় রেখেই মুখরক্ষার উপায় খুঁজছে মোর্চা। প্রয়োজনে কেন্দ্রের তরফে গুরুঙ্গদের রাজ্যের সঙ্গে বসার কোনও বার্তা পাঠানো হলে কিছুটা হলেও অস্বস্তি এড়ানোর উপায় মিলবে বলে মোর্চার একাংশের দাবি। তবে শনিবার দিনভর মোর্চা নেতারা পাহাড়ে বৃষ্টির জন্য যে দুর্যোগ পরিস্থিতি হয়েছে তা মোকাবিলার উপায় খুঁজতেই ব্যস্ত ছিলেন। মোর্চার এক নেতা জানান, আজ, রবিবার তাঁরা আলোচনার প্রক্রিয়া কী ভাবে এগোবে তা নিয়ে সব মহলেই যোগাযোগ করবেন।
আরও পড়ুন:ডাক পেলে সবার কথাই শুনবে মোর্চা
সরকারি সূত্রের খবর, রাজ্যের পক্ষ থেকেও পাহাড়ের দুর্যোগ মোকাবিলার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। টানা বৃষ্টি আরও ক’দিন চললে যদি ধসপ্রবণ এলাকায় সমস্যা বাড়ে তা হলে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে দ্রুত পৌঁছনোর নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। দুর্যোগ মোকাবিলায় যাতে অসুবিধে না হয়, তা মাথায় রেখে বন্ধ তোলা যে জরুরি সেটা মোর্চা নেতাদেরও মাথায় রাখতে হবে। ওই সরকারি কর্তা জানান, বন্ধ তুললে আলোচনা শুরু করতে সময় লাগার কথা নয়।
ইতিমধ্যে বিজেপির পক্ষ থেকেও পাহাড়ে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর দাবি তোলার কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু, রাজ্য ওই ধরনের প্রস্তাবের কথা শুনতেই রাজি নয় বলে সূত্রের খবর। মোর্চার একটি সূত্রের দাবি, আজ, রবিবার দিল্লিতে গোর্খাল্যান্ড দাবি আদায় সমন্বয় সমিতির সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। জানা গিয়েছে, সাক্ষাতের জন্য তাঁরা সময় চেয়েছিলেন বলেই তাঁদের সময় দেওয়া হয়েছে। এরপরেই এক মোর্চা নেতা জানান, কেন্দ্র তাঁদের রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা শুরুর অনুরোধ করলে তা তাঁরা উপেক্ষা করতে পারবেন না।