ধসে ভোগান্তি বক্সায়

বর্ষার শুরুতেই সমস্যায় জেরবার পাহাড়ের বাসিন্দারা। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ পেরোতে না পেরোতেই বক্সা পাহাড়ের আদমা থেকে চুনাভাটি যাওয়ার বিভিন্ন এলাকায় ধস নামছে। এখনই এই অবস্থা হলে ভরা বর্ষায় কী হবে তা ভেবে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৮ ০৩:২৯
Share:

ঝুঁকি: বক্সায় এ ভা‌বেই ধস নেমেছে পাহাড়ি পথে। ছবি: নারায়ণ দে

বর্ষার শুরুতেই সমস্যায় জেরবার পাহাড়ের বাসিন্দারা। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ পেরোতে না পেরোতেই বক্সা পাহাড়ের আদমা থেকে চুনাভাটি যাওয়ার বিভিন্ন এলাকায় ধস নামছে। এখনই এই অবস্থা হলে ভরা বর্ষায় কী হবে তা ভেবে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটকেরা।

Advertisement

বক্সা পাহাড়ে এমনিতেই যাতায়াতের সমস্যা রয়েছে। এলাকাগুলিতে গাড়ি যায় না। বাসিন্দাদের দুর্গম পাকদণ্ডি বেয়ে যাতায়াত করতে হয়। বর্ষার শুরুতেই বিভিন্ন এলাকায় ধস দেখা দেওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পাহাড়ের বাসিন্দা থেকে প্রশাসনের কর্তা, সকলের কপালেই। আলিপুরদুয়ার জেলার দুর্গম এলাকা বক্সা পাহাড়, চুনাভাটি পাহাড় ও আদমা। আদমা পাহাড়ে যেতে হয় রায়মাটাং পাহাড় হয়ে গভীর জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে। দিন কয়েক আগে ফুলাবড়ি পুখরি এলাকা থেকে আদমা যাওয়ার পথে বেশ কিছু যায়গায় ধস নামে।

সান্তালাবাড়ি এলাকা থেকে বক্সা পাহাড়ে যাওয়ার সময় পাশে একটি রাস্তা নেমে গিয়েছে চুনাভাটি পাহাড়ের দিকে। এক কিলোমিটার যাওয়ার পরে ফের চড়াই। সেই এক কিলোমিটার রাস্তায় মাঝেই জলের তোড়ে বেশ খানিকটা রাস্তা ধসে গিয়েছে তাছাড়া বেশ কিছু জায়গায় পাহাড়ের গায়ে ধস নেমেছে। এলাকার বাসিন্দা ইন্দ্রবাহাদুর থাপা বলেন, ‘‘এমনিতেই দুর্গম রাস্তা। তার উপর ধস নামায় বর্ষার সময় চলাচল দায় হয়। তাছাড়া মোবাইল যোগাযোগ নেই বললেই চলে।’’

Advertisement

কলকাতা থেকে আসা পর্যটক মান্টি বসু রায় বলেন, ‘‘দুর্গম পথ শুনে ট্রেকিং করার পরিকল্পনা নিয়েছিলাম চুনাভাটিতে। তার আগেই দেখলাম রাস্তার মাঝে ধস। বর্ষায় ট্রেকিং করার ঝুঁকি আর নিইনি।’’ রাজাভাতখাওয়া তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আ্যালবার্ট সাংমা বলেন, ‘‘ভঙ্গুর পাথর থাকায় কার্যত প্রতি বছরই ধস নামে বিভিন্ন এলাকায়। ১০০ দিনের কাজে মেরামত হয় রাস্তা। তবে সমতলের সঙ্গে পাহাড়ের তফাৎ রয়েছে। পাহাড়ের জন্য আলাদা মাস্টারপ্ল্যানের প্রয়োজন রয়েছে।’’

কালচিনি ব্লকের বিডিও থেন্ডুপ শেরপা জানান, প্রতি বছরই পাহাড়ি এলাকাগুলিতে ধস নামে। তাঁর কথায়, ‘‘রাস্তায় ধস নামলে সমস্যা হয়। চুনাভাটি, আদমা-সহ বেশ কিছু এলাকায় ধসের খবর পেয়েছি। রাস্তাগুলি মেরামতের উদ্যোগী হচ্ছে প্রশাসন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন