চাচার বিদায়ে মিলল সব মত

বিধানসভা ভবন হোক বা বিধায়ক আবাস কিম্বা খড়গপুরের কংগ্রেস কার্যালয়— চাচাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় জমল দল-মত নির্বিশেষে নেতা এবং সাধারণ মানুষের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৭ ০২:২৪
Share:

ফাইল চিত্র।

সংসদীয় রাজনীতিতে সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্যতার নিরিখে তিনি ছিলেন অন্য সকলের চেয়ে এগিয়ে। দশ বারের বিধায়ক জ্ঞানসিংহ সোহনপালের (চাচা) শেষ যাত্রাতেও সেই ছবিই ধরা রইল। বিধানসভা ভবন হোক বা বিধায়ক আবাস কিম্বা খড়গপুরের কংগ্রেস কার্যালয়— চাচাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় জমল দল-মত নির্বিশেষে নেতা এবং সাধারণ মানুষের।

Advertisement

মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতালে প্রয়াত হন কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক চাচা। পিস হেভ্ন থেকে বুধবার সকালে তাঁর মরদেহ নিয়ে প্রথমে যাওয়া হয় প্রদেশ কংগ্রেস দফতর বিধান ভবনে। শুধু প্রয়াত বিধায়ককে অন্তিম শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই দিল্লি থেকে উড়ে এসেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সংসদ চলছে বলে চাচার মরদেহে মালা দিয়েই আবার দিল্লির উড়ান ধরতে চলে যান তিনি। বিধান ভবন থেকে বিধায়ক আবাসে মরদেহ আনা হলে বোঝা গিয়েছে, পুরনো বিধায়ক ও আবাসের কর্মীদের কতটা জনপ্রিয় ছিলেন চাচা। সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিধানসভায়। অধিবেশনের ফাঁকেই এক সময়ের প্রবীণতম বিধায়ককে শ্রদ্ধা জানান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেপুটি স্পিকার হায়দর আজিজ সফি, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র-সহ একাধিক মন্ত্রী, বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী প্রমুখ। বিধানসভায় কিছু ক্ষণ রাখার পরে মরদেহ নিয়ে শেষযাত্রা শুরু হয় খড়গপুরের উদ্দেশে। কলকাতা থেকে খড়গপুর পর্যন্ত টানা চাচার দেহের সঙ্গে ছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও তাঁর কার্যকরী সহকারী প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়।

খড়গপুরের কংগ্রেস কার্যালয়ে চাচার জন্যই এ দিন দেখা গিয়েছে বিরল দৃশ্য। তাঁর বাড়ি ঘুরে কার্যালয়ে চাচার মরদেহ আনার পরে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন তৃণমূলের ভাবী সাংসদ মানস ভুঁইয়া। চাচার স্মৃতিতে সেখানে একই সুরে বক্তৃতা করেন মান্নান ও মানসবাবু। খড়গপুরে আজ, বৃহস্পতিবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement