মাপকাঠি মেধা: পার্থ

কলেজে খালি আসন ভরতে চাই অনুমতি

বারে বারেই কিছু কলেজের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ছাত্র ভর্তির অভিযোগ উঠছে। শিক্ষামন্ত্রী এ দিন জানান, কলেজসমূহের পরিদর্শক দায়িত্ব পালন করেননি বলেই এটা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৯
Share:

বাড়তি পড়ুয়া নেওয়া যাবে না বলে বারবার কলেজগুলিকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু এখন সমস্যাটা দাঁড়িয়েছে শূন্য আসনের। রাজ্যের অনেক কলেজে বেশ কিছু আসন এখনও ফাঁকা পড়ে আছে। এই অবস্থায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানালেন, প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ অনুমতি নিয়ে কলেজ সেই সব আসনে ভর্তি নিতে পারবে।

Advertisement

‘‘কলেজে পড়তে চায়, অথচ ভর্তি হতে পারছে না— এমন এক জনও থাকবে না,’’ বৃহস্পতিবার বলেন শিক্ষামন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি সতর্ক করে দেন, শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের বেঁধে দেওয়া আসনেই ভর্তি নেওয়া যাবে। তার বেশি নয়। এবং ভর্তির ভিত্তি হবে মেধা। এ দিন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। বৈঠকে ‘চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম’ (সিবিসিএস) চালু, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর শূন্য পদ-সহ বিভিন্ন বিষয়েও কথা হয়।

আসন ফাঁকা কেন? এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু কলেজে পড়ুয়াদের ভর্তির আগ্রহকেই দায়ী করেন শিক্ষামন্ত্রী। বারে বারেই কিছু কলেজের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ছাত্র ভর্তির অভিযোগ উঠছে। শিক্ষামন্ত্রী এ দিন জানান, কলেজসমূহের পরিদর্শক দায়িত্ব পালন করেননি বলেই এটা হয়েছে।

Advertisement

শিক্ষামন্ত্রী আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে সিবিসিএস চালু করার কথা বলেছেন। কিন্তু বৈঠকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁরা ওই সময়ে সিবিসিএস চালু করতে পারবেন না। শিক্ষামন্ত্রী জানান, অন্তত আগামী শিক্ষাবর্ষই হোক ‘টার্গেট’ বা লক্ষ্যমাত্রা। ইউজিসি বারবার সব বিশ্ববিদ্যালয়কে সিবিসিএস চালু করার নির্দেশ দিচ্ছে। রাজ্যও বলছে। এই পদ্ধতিতে পঠনপাঠন হয় সেমেস্টার পদ্ধতিতে। বিষয় বাছার স্বাধীনতা থাকে পড়ুয়ার।

জানুয়ারির শিক্ষা সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দানিয়েছিলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শূন্য শিক্ষক-পদ ছ’মাসের মধ্যে পূরণ করা হবে। শিক্ষামন্ত্রী এ দিন জানান, এখনও ১৭০০ পদ ফাঁকা। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই পদ যথাসম্ভব পূরণের ব্যবস্থা করা হবে।

কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য একটি শিক্ষা-ইঞ্জিনিয়ারিং সেল গড়ার বিষয়েও এ দিন আলোচনা হয়। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘নির্মাণকাজে গতি আনতে শিক্ষা-ইঞ্জিনিয়ারিং সেল গড়া যায় কি না, সেই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো।’’ তিনি জানান, পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযান (রুসা) থেকে যে-অর্থ মেলে, তার সদ্ব্যবহার শংসাপত্র জমা দেওয়াটা জরুরি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এ-সব বিষয়ে পিছিয়ে রয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজের সুবিধার জন্য সমীর ব্রহ্মচারী কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী চারটি ক্যাম্পাসে প্রশাসনিক কাজ ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টিও বৈঠকে ওঠে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গেও বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। ওই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ দেখভালের জন্য উচ্চশিক্ষা সচিবের নেতৃত্বে একটি মনিটরিং সেল গড়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন