শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান ছাড়া অন্য কিছুর জন্য কোনও ব্যক্তি বা বাইরের কোনও সংগঠনকে সরকার নিয়ন্ত্রিত স্কুলবাড়ি ভাড়া দিতে হলে কর্তৃপক্ষকে এ বার স্কুলশিক্ষা দফতরের অনুমতি নিতে হবে। মঙ্গলবার স্কুলশিক্ষা কমিশনার সৌমিত্র মোহনের স্বাক্ষরিত এক নির্দেশে বলা হয়েছে, পঠনপাঠনের বাইরে এমন অনেক কাজে স্কুলবাড়ি ভাড়া দেওয়া হচ্ছে, যাতে স্কুলের আসল লক্ষ্যই বিঘ্নিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পঠনপাঠনের পরিবেশ। তাই অনুমতির ব্যবস্থা।
সোমবার স্কুলশিক্ষা দফতরে না-জানিয়েই চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মীর ছেলের বৌভাতের জন্য হাওড়ার অক্ষয় শিক্ষায়তনের পুরো ভবন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন স্কুল-কর্তৃপক্ষ। পুলিশ পাঠিয়ে প্রধান শিক্ষককে তলব করে জেলা স্কুলশিক্ষা দফতর। তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিস ধরানো হয়েছে। ভুল স্বীকার করেছেন স্কুল-কর্তৃপক্ষ।
নতুন নির্দেশ যথাযথ ভাবে পালন করা হবে কি না, সেই বিষয়ে শিক্ষা শিবির সন্দিহান। তাদের বক্তব্য, এই নির্দেশ দিয়ে শাসক দলের ঘনিষ্ঠদের আটকে রাখা যাবে না। কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেসের সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, ‘‘সঙ্কীর্ণ রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে শিক্ষামূলক নয়, এমন অনুষ্ঠানে স্কুলবাড়ি ভাড়া দেওয়া বন্ধ হলে সত্যিই শিক্ষার্থীদের কিছুটা হলেও উপকার হয়। কিন্তু এর নিরপেক্ষতা বজায় রাখার ব্যাপারে আমরা সন্দিহান।” তবে প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্রীদাম জানার মতে, এই নির্দেশের প্রয়োজন ছিল। কারণ স্কুলশিক্ষা দফতরকে না-জানিয়ে পঠনপাঠনের বাইরে অন্য অনুষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন সংগঠনকে এই ভাবে স্কুলবাড়ি ভাড়া দেওয়া নিয়মবিরুদ্ধ। রাজ্যের বেশির ভাগ স্কুল সরকার পোষিত। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত থেকে পোষিত হওয়ার সময় স্কুলগুলিকে জানাতে হয়েছিল, স্কুলের স্থাবর ও অস্থাবর সব সম্পত্তিই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীন।