মুকুল রায়। ছবি: সংগৃহীত
নজরুল মঞ্চের প্রবেশপথ থেকে মূল ফটক পর্যন্ত সারি দিয়ে সাজানো তৃণমূলের সাংসদ এবং মন্ত্রীদের ছবি। প্রত্যাশিত ভাবেই রাজ্যসভার দুই সাংসদ কুণাল ঘোষ এবং কে ডি সিংহের ছবি সেখানে নেই! কিন্তু তালিকায় বাদ আর এক সাংসদ মুকুল রায়ের ছবিও! পশ্চিমবঙ্গ কিষাণ ও ক্ষেতমজুর তৃণমূল কংগ্রেসের সম্মেলন উপলক্ষে রবিবার নজরুল মঞ্চে এমন দৃশ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে দলীয় মহলেই— মুকুল কি তা হলে দলে একেবারেই ব্রাত্য হয়ে গেলেন?
সাম্প্রতিক কালে সংসদের বিভিন্ন কমিটির সদস্যপদ, চেয়ারম্যানের পদ, উত্তর-পূর্ব ভারতের দলীয় দায়িত্ব থেকে বাদ পড়েছেন মুকুল। তাঁর জায়গায় উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডের নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন অর্জুন সিংহ। উত্তর-পূর্বে তাঁকে সরিয়ে দায়িত্বে এসেছেন সব্যসাচী দত্ত। মুকুলের সঙ্গে বিজেপি-র ‘ঘনিষ্ঠ’ সম্পর্ক নিয়েও রাজনৈতিক শিবিরে ইদানীং চর্চা বেশ তুঙ্গে। এই প্রেক্ষিতেই নজরুল মঞ্চে সাংসদদের ছবির সারিতে মুকুলের অনুপস্থিতি গুঞ্জন তৈরি করছে।
দলের ক্ষেতমজুর সংগঠনের রাজ্য সভাপতি বেচারাম মান্না অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘আমরা সকলের ছবিই দিয়েছি। আপনারা দেখতে পাননি!’’ প্রসঙ্গত, ছবির প্যানেলে প্রয়াত সাংসদ কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরও ছিলেন। ভুল বুঝতে পেরে তাঁর ছবি সাদা কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল।
ওই সম্মেলনে বেচারামবাবুর জেলা হুগলি থেকে অজস্র তৃণমূল কর্মী-সমর্থক এসেছিলেন। কিন্তু সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ছিলেন না। তা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বেচারামবাবু বলেন, ‘‘আমরা সকলকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। কে আসবেন, কে আসবেন না, সেটা তাঁদের ব্যাপার।’’ প্রসঙ্গত, তৃণমূলের জেলা রাজনীতিতে রবীন্দ্রনাথবাবুর সঙ্গে বেচারামবাবুর দ্বন্দ্ব সুবিদিত। প্রথম তৃণমূল সরকারের আমলে রবীন্দ্রনাথবাবুকে সরিয়ে বেচারামবাবুকে মন্ত্রী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।