মেদিনীপুরের কলেজ-কলেজিয়েট মাঠ সংস্কারের কাজ চলছে। নিজস্ব চিত্র
২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে পাল্টা সভার ঘোষণা করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৮ জুলাই মেদিনীপুরে এই সভা হবে। সভার আয়োজন করতে গিয়ে এখন দম ফেলার ফুসরত নেই জেলা তৃণমূলের নেতাদের। একদিকে মাঠে লোক ভরানোর চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে বৃষ্টির আশঙ্কা। মেদিনীপুরের সভার প্রস্তুতি বৈঠক শুরু হয়েছে ব্লকে ব্লকে। বুধবারই যেমন গড়বেতা সহ বেশ কয়েকটি ব্লকে বৈঠক হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, বৈঠকে জেলা তৃণমূলের নেতারা জানাচ্ছেন, সঙ্গে শুধু ছাতা রাখুন। মেদিনীপুরে পেটভরা খাবারের ব্যবস্থা দলই করে দেবে। শাসক দলের এক জেলা নেতার কথায়, “মেদিনীপুরে এখন মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হচ্ছে। সভার দিনও হতে পারে। তাই সঙ্গে ছাতা রাখার আবেদন করা হচ্ছে।”
প্রস্তুতি বৈঠকে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান দীনেন রায় বলছেন, “২১ জুলাই বৃষ্টি হয়েছে। আমরা সবাই কিন্তু ভিজেছি। কেউ সভাস্থল ছেড়ে যাইনি। মেদিনীপুরে বৃষ্টি হলেও মাঠ ছেড়ে যাওয়া যাবে না। আমাদের একটা শপথ নিতে হবে, বৃষ্টি হলেও কিন্তু আমরা মাঠে আসব। ছাতা নিয়ে প্রত্যেককে আসতে হবে।” প্রস্তুতি বৈঠকে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলছেন, “যতজন পারেন মানুষকে আগাম মেদিনীপুরে নিয়ে আসবেন। আগাম এসে যাওয়া মানুষকে মোড়ে মোড়ে খাওয়ানোর ব্যবস্থা রাখা হবে। দলই এই ব্যবস্থা করবে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতির ব্যাখ্যা, দু’টোর পরে এলে সভায় ঢুকতে পারবেন না। তাই মানুষ যাতে আগাম এসে যান এবং তাদের যাতে কোনও অসুবিধে না হয়, সেই জন্য আমরা খাওয়ানোর ব্যবস্থা রাখছি। মাঠে লোক ভরাতে খাওয়ানোর টোপ? শাসক দলের এক জেলা নেতার জবাব, “আমরা কি সামান্য খাবারও তুলে দিতে পারি না? সভায় আসা কর্মী- সমর্থকদের মুখে যদি সামান্য খাবারও তুলে দিতে না পারি তাহলে ক্ষমতায়থাকা-না থাকা সমান!”
ইতিমধ্যে মাঠ পরিদর্শন করেছেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। ছাউনি ছাড়া মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। মাঠের একটা বড় অংশ এখনও জলকাদায় ভর্তি। প্যাচপ্যাচে অবস্থা। বালি ফেলা শুরু হয়েছে। মেদিনীপুরের কলেজ- কলেজিয়েট স্কুল মাঠে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে একই মাঠে পাল্টা সভা হবে। কত লোক সভায় আসবেন? তৃণমূলের জেলা সভাপতির দাবি, “লক্ষ লক্ষ মানুষ সভার দিন মেদিনীপুরে আসবেন!”