Narendra Modi's Meeting in Bengal

পশ্চিমবঙ্গে মোদীর ধারাবাহিক সভার কর্মসূচি স্থগিত করে দিল বিজেপি, দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েও বাতিল হল রানাঘাটের জনসভা

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ১০টি সাংগঠনিক বিভাগ রয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, ডিসেম্বরের মধ্যে সেই ১০টি বিভাগেই প্রধানমন্ত্রীর একটি করে প্রশাসনিক এবং জনসভার কর্মসূচি রাখা হবে স্থির হয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:২৫
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

বাংলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ধারাবাহিক জনসভার কর্মসূচি স্থগিত। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনকে নজরে রেখে এ বছর ডিসেম্বরের মধ্যে এ রাজ্যে ১০টি সভা করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। তার মধ্যে তিনটি সভা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। চতুর্থ সভার দিনক্ষণও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিজেপি সূত্রে খবর, দিল্লির নির্দেশে তা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত তা-ই বহাল থাকবে। ফলে আপাতত প্রধানমন্ত্রীর জনসভা আয়োজনের ব্যস্ততা নেই রাজ্য বিজেপির।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ১০টি সাংগঠনিক বিভাগ রয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, ডিসেম্বরের মধ্যে সেই ১০টি বিভাগেই প্রধানমন্ত্রীর একটি করে প্রশাসনিক এবং জনসভার কর্মসূচি রাখা হবে স্থির হয়েছিল। সেইমতো গত মে মাসে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, জুলাইয়ে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর এবং গত অগস্ট মাসে উত্তর ২৪ পরগনার দমদমে প্রশাসনিক সভা এবং জনসভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

দলীয় সূত্রে খবর, চতুর্থ সভাটি হওয়ার কথা ছিল নদিয়ার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে। স্থির হয়েছিল, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর সেই সভা হবে। কিন্তু মঙ্গলবারই দিল্লি থেকে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়েছে। যদিও ঠিক কী কারণে এই সিদ্ধান্ত, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দলীয় সূত্রেরই বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি স্থগিত হয়েছে। এখনও পুরোপুরি বাতিল হয়ে যায়নি। অর্থাৎ, ভবিষ্যতে এই সিদ্ধান্ত বদলাতেও পারে। আপাতত সে দিকেই তাকিয়ে রাজ্য নেতৃত্ব।

Advertisement

বিধানসভা নির্বাচনকে নজরে রেখে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোদীর যে তিনটি কর্মসূচি হয়েছে, তিনটিতেই জনসভার পাশাপাশি প্রশাসনিক সভা হয়েছে। প্রশাসনিক সভা থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের শিলান্যাস এবং উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর জনসভায় প্রত্যাশিত ভাবেই রাজনৈতিক বার্তা। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। কখনও বাংলা-বাঙালি অস্মিতা, কখনও অনুপ্রবেশ, কখনও আবার দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে বিঁধেছেন মোদী। তৃণমূলও পাল্টা জবাব দিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement