আমডাঙা কাণ্ডে রাজস্থান থেকে ধৃত সিপিএম নেতা

পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে আমডাঙায় খুনোখুনির ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত সিপিএম নেতা জাকির বল্লুককে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:৪০
Share:

জাকির বল্লুক। —নিজস্ব চিত্র।

পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে আমডাঙায় খুনোখুনির ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত সিপিএম নেতা জাকির বল্লুককে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, শনিবার রাজস্থানের অজমের শরিফ থেকে ধরা হয় তাঁকে। দিন কয়েক আগে আমডাঙায় সিপিএম-তৃণমূলের বোমা-গুলির লড়াইয়ে মারা যান ৪ জন। ওই ঘটনার পরে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এলাকায় সভা করে বলেছিলেন, মায়ের আঁচলের তলায় যেখানেই লুকিয়ে থাক জাকির, পুলিশ তাঁকে খুঁজে বের করবেই। সরকারের শীর্ষস্তর থেকেও জাকিরকে গ্রেফতারের ব্যাপারে চাপ ছিল। পুলিশ ওই সিপিএম নেতার মোবাইল টাওয়ারের উপরে নজর রাখতে শুরু করে। খবর আসে, অজমের শরিফের একটি হোটেলে গা ঢাকা দিয়ে আছেন জাকির।

জেলা পুলিশের একটি দল সে রাজ্যে পৌঁছয়। পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, দরগায় যাওয়ার পথে সাদা পোশাকের পুলিশ ধরে ফেলে জাকিরকে। এ দিনই সেখানকার আদালতে তোলা হয়েছিল ধৃত নেতাকে। তাঁকে নিজেদের রিম্যান্ডে নিয়ে পুলিশ ফিরছে এলাকায়। সোমবার বারাসত আদালতে তোলা হবে জাকিরকে। পুলিশের এক কর্তা জানান, ঘটনার পর থেকে দু’পক্ষের প্রায় ৪০ জনের নামে এফআইআর হয়েছিল। তাতে জাকিরের নামও ছিল। দু’পক্ষের জনা তিরিশ ধরা পড়েছে।

Advertisement

এই পরিস্থিতিই আজ, রবিবার আমডাঙার কাছে সাধনপুরে সভা করতে আসছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। এ কথা জানিয়ে জেলা সিপিএম সম্পাদক মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জাকির পঞ্চায়েতের (তারাবেড়িয়া) নির্বাচিত সদস্য। ওঁকে গুলি করে খুন করতেই সে দিন হামলা চালিয়েছিল তৃণমূল। না পেরে এ বার গ্রেফতার করল। তবে আমডাঙায় আমাদের আন্দোলন জাকিরকে সামনে রেখেই হবে।’’

তৃণমূল জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আবার বলেন, ‘‘জাকির কিংবা বিমানবাবুরা এলাকায় ঢুকে দেখুন। জনরোষ কাকে বলে, টের পাবেন।’’

বছর পঞ্চাশের জাকিরের বিরুদ্ধে এর আগেও নানা অভিযোগ উঠেছে। বাম আমলে আমডাঙা এলাকায় তার দাপটের কথা লোকের মুখে মুখে ফিরত। বাম আমলের শেষ দিকে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নির্দেশে পুলিশ একবার গ্রেফতার করেছিল জাকিরকে। সে বার আমডাঙা থানায় ভাঙচুর চালিয়ে লকআপ গুঁড়িয়ে দিয়ে জাকিরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় গ্রামের লোক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement