Awami League Leader Arrested

বর্ধমান থেকে আওয়ামী লীগের নেতা গ্রেফতার, আশ্রয় দেওয়ার দায়ে ধৃত আরও দু’জন

সোমবার আওয়ামী লীগের নেতাকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। তাঁকে ভারতে আসতে এবং আশ্রয় নিতে সাহায্য করার জন্য আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:৫৭
Share:

ধৃত তিন জনকে আদালতে হাজির করাচ্ছে পুলিশ। মঙ্গলবার বর্ধমানে। —নিজস্ব চিত্র।

প্রাণভয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসে বর্ধমানে আশ্রয় নিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের এক নেতা। পরিচয় গোপন করে রাজমিস্ত্রির কাজও শুরু করেছিলেন। তবে শেষরক্ষা হল না। সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। তাঁকে ভারতে আসতে এবং আশ্রয় নিতে সাহায্য করার জন্য আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

আওয়ামী লীগের ধৃত ওই নেতার নাম রাজু আহমেদ। তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার কুশরপুর এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১০ দিন ধরে রাজু বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুর এলাকার মালিরবাগানে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। রাজমিস্ত্রির কাজও শুরু করেছিলেন। রাজুকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসতে সাহায্য করার অভিযোগে আসানসোলের বাসিন্দা সুদীপ দাস ওরফে বাপন নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

অন্য দিকে, রাজুর আসল পরিচয় জেনেও তাঁকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুরের বাসিন্দা শেখ মাজেদ রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত তিন জনকেই মঙ্গলবার বর্ধমান আদালতে হাজির করানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, আওয়ামী লীগের নেতাকে অবৈধ ভাবে ভারতে নিয়ে আসতে ‘মিডলম্যান’ হিসাবে কাজ করেছিলেন সুদীপ। ধৃত রাজু পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানান, বাংলাদেশে মারধর করা হচ্ছিল। তাই প্রাণের ভয়ে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তিনি ভারতে ঢোকেন। তবে ভারতে ঢোকার বৈধ কোনও নথি বা কাগজ দেখাতে পারেননি আওয়ামী লীগের ওই নেতা।

Advertisement

এই ঘটনায় একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার সন্ধ্যায় বাজেপ্রতাপপুরের একটি বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগের নেতা রাজু আহমেদকে গ্রেফতার করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement