Durgapur Rape Case

দুর্গাপুরকাণ্ড: ‘নির্যাতিতার’ পরিবার চাইলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে, সব রকম সাহায্যের আশ্বাস পুলিশের

আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী জানান, ‘নির্যাতিতার’ বাবার সঙ্গে নিজে দেখা করে কথা বলেছেন। তিনি এ-ও বলেন, ‘‘ঘটনার পর পরই আমরা এফআইআর দায়ের করি। এখনও পর্যন্ত আমরা পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছি, এরা প্রত্যেকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।’’

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ০১:১৭
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

দুর্গাপুরকাণ্ডে ‘নির্যাতিতার’ পরিবারের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তারা চাইলে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হবে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই জানালেন আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী। তিনি এ-ও জানান, ‘নির্যাতিতার’ বাবার সঙ্গে নিজে দেখা করে কথা বলেছেন। সব রকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন।

Advertisement

শুক্রবার রাতে ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ডাক্তারি ছাত্রী। গণধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ আগেই তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল। রবিবার তাঁদের আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারক তাঁদের ১০ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তার পরে রবিবার রাতে এবং সোমবার বেলার দিকে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সুনীল বলেন, ‘‘ঘটনার পর পরই আমরা এফআইআর দায়ের করি। এখনও পর্যন্ত আমরা পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছি, এরা প্রত্যেকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।’’

দুর্গাপুরকাণ্ডের ‘নির্যাতিতা’ ডাক্তারি ছাত্রীকে বাংলা থেকে ওড়িশায় নিয়ে যেতে চেয়েছেন তাঁর বাবা। কেন তিনি নিয়ে যেতে চান, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন। ‘নির্যাতিতার’ বাবা জানান, ঘটনার পর থেকেই তিনি আতঙ্কিত। তাঁর কথায়, ‘‘এই জায়গার উপর থেকে ভরসা উঠে গিয়েছে। ওকে (মেয়েকে) মেরেও ফেলতে পারে।’’ সোমবার সুনীল বুঝিয়ে দেন, এখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার কোনও প্রয়োজন নেই। তাঁর কথায়, ‘‘ওনারা (নির্যাতিতার পরিবার) চাইলে আমরা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব। কোনও রকম অসুবিধা হবে না। আমরা সব রকম ব্যবস্থা করব।’’ তিনি এ-ও জানান, দোষীরা যাতে কঠোরতম শাস্তি পান, আইন অনুযায়ী সেই সব ব্যবস্থা করা হবে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে এক সহপাঠী-বন্ধুর সঙ্গে বাইরে বেরিয়েছিলেন তিনি। রাস্তায় হাঁটছিলেন। সেই সময় অভিযুক্তেরা প্রথমে তাঁকে হেনস্থা করেন। তার পর তাঁকে রাস্তার পাশে জঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। সেই সময় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সহপাঠী-বন্ধুর বিরুদ্ধে। সেই বন্ধুটিকে ‘আটক’ করে রেখেছে পুলিশ।

পুলিশ নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বললেও ‘নির্যাতিতার' বাবা আশ্বস্ত হতে পারছেন না। গোপন জবানবন্দির জন্য অপেক্ষা করছেন তাঁরা। তা মিটে গেলেই দুর্গাপুরের ‘নির্যাতিতা’কে ওড়িশা নিয়ে যাওয়ার কথা ভেবে রেখেছেন তাঁর বাবা। সোমবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মেয়েকে ওড়িশায় নিয়ে যাওয়ার কথা তাঁকেও জানিয়েছেন ‘নির্যাতিতার’ বাবা। সোমবার দুর্গাপুরে গিয়ে ‘নির্যাতিতার’ সঙ্গে দেখা করে এসেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

অন্য দিকে, দুর্গাপুরকাণ্ডে ইতিমধ্যে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। ‘গণধর্ষণের’ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১১ দফা সুপারিশ করেছে তারা। পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপালকে চিঠিও পাঠিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement