police

DJ box: ডিজে বক্স জব্দ করতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ

ধৃতদের রবিবার চন্দননগর আদালতে তোলা হয়। বিচারক প্রত্যেককেই ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিঙ্গুর শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২২ ০৫:৪১
Share:

প্রতীকী ছবি

রক্ষাকালী পুজোয় ডিজে বক্স বাজেয়াপ্ত করতে গিয়ে শনিবার রাতে হুগলির সিঙ্গুরের বলরামবাটী পঞ্চায়েতের নন্দনবাটীতে আক্রান্ত হল পুলিশ।

অভিযোগ, মারধরে পাঁচ পুলিশকর্মী আহত হন। পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় ডিজে বক্স বাজানোর যন্ত্রাংশ। হুগলি গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, ধৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশকে মারধর, সরকারি সম্পত্তি নষ্টের মামলা করা হয়েছে। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদের গ্রেফতার করা হবে।
ধৃতদের রবিবার চন্দননগর আদালতে তোলা হয়। বিচারক প্রত্যেককেই ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘গভীর রাতে পুলিশ গিয়ে একাধিক বার ডিজে বন্ধ করলেও ফের তা চালিয়ে দেওয়া হয়। শেষে যন্ত্রাংশ বাজেয়াপ্ত করতে গেলে পুলিশের উপরে হামলা হয়।’’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুজো কমিটির এক সদস্যের সাফাই, ‘‘পুলিশ মেশিন তুলে নিয়ে না গেলে অশান্তি হত না। মেশিন নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছে। পুজো দেখে যাঁরা‌ বাড়ি ফিরছিলেন, রাস্তা থেকে তাঁদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’’ রাত ১০টার পরে মাইক বাজানো নিষিদ্ধ। ডিজে বক্স পুরোপুরি নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও গভীর রাতে তা বাজানো হচ্ছিল কেন? জবাব অবশ্য ওই পুজোকর্তা দিতে পারেননি।
ডিজে বক্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ খুশি। যদিও, তাঁদের বক্তব্য, সন্ধ্যা থেকেই ডিজে বক্সের বিকট আওয়াজে নাকাল হতে হয়েছে। অনেক আগে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল।
পুলিশের একটি সূত্রে জানানো হয়েছে, ডিজে-র আওয়াজে এলাকাবাসীর অসুবিধার অভিযোগ পাওয়াতেই রাত ১১টা নাগাদ পুলিশ গিয়ে তা বন্ধ করে। পুলিশ ফিরে যাওয়ার পরে ফের ডিজে বাজতে থাকে। রাত সওয়া ১টা নাগাদ ফের পুলিশ গিয়ে গান বন্ধ করে। এ বারেও পুলিশ ফিরে যাওয়ার পরে ডিজে-র উৎপাত শুরু হয়। শেষে, রাত ৩টে নাগাদ পুলিশ যন্ত্রাংশ বাজেয়াপ্ত করতে যায়। তখনই গোলমাল। পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়।
আহত পুলিশকর্মীদের সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জীব অধিকারী বলেন, ‘‘ডিজের আওয়াজে সমস্যা তো হয়ই। বাধ্য হয়ে মেনে নিতে হয়। পুলিশ দু’বার এসে সাবধান করেছিল। কাজ হয়নি। শেষে গোলমালের পরে পুলিশ ধরপাকড় করেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন