খড়্গপুরের চৌরঙ্গি মোড়ে পুলিশের উপর চড়াও বিজেপি কর্মীরা। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
প্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগ দিতে না পেরে সোমবার বিজেপি কর্মীরা চড়াও হলেন পুলিশের উপর। রাস্তায় ফেলে মারধর করা হল পুলিশকর্মীদের। ভাঙচুর করা হল পুলিশের গাড়ি। আহত হয়েছেন ১০ জন পুলিশকর্মী।
সোমবার গোলমাল বাধে মেদিনীপুর ও খড়্গপুরের সংযোগস্থল চৌরঙ্গিতে। বিজেপির অভিযোগ, শাসক দলের ‘চাপে’ পুলিশ প্রায় আড়াই ঘণ্টা তাদের সমর্থকদের বাস আটকে রেখেছিল। আর পুলিশের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার জন্য ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানান, মারধরের ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, হামলাকারীদের ছবি তাদের হাতে রয়েছে। ফলে, ওরা ছাড় পাবে না।
এ দিন সকাল থেকে খড়্গপুর, কেশিয়াড়ি, নারায়ণগড়, সবং-সহ বিভিন্ন ব্লক থেকে বিজেপি কর্মী, সমর্থকেরা বাসে করে মোদী সভায় যোগ দিতে মেদিনীপুরের উদ্দেশে রওনা হন। বিজেপির অভিযোগ, সাড়ে ১০টা নাগাদ চৌরঙ্গিতে তাদের সমর্থকদের কয়েকটি বাস আটকে দেয় পুলিশ। খড়্গপুরের বিজেপি কাউন্সিলর অনুশ্রী বেহেরার অভিযোগ, ‘‘আমার এলাকার দু’টি বাসকে চৌরঙ্গিতে পুলিশ ইচ্ছাকৃত আটকে দেয়।”
মারমুখী
দুপুর একটার পরেও বাস না ছাড়ায় মেজাজ হারান বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। পুলিশের দাবি, খড়্গপুর গ্রামীণ থানার ওসি বিশ্বরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ১০ জন পুলিশকর্মী জখম হয়। তাঁদের খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডেবরা থানার এক পুলিশকর্মী ছাড়া বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশকর্মীদের মারধর প্রসঙ্গে অনুশ্রীর দাবি, ‘‘আমি একজনের গাড়িতে কোনওরকমে মেদিনীপুরে এসেছি। চৌরঙ্গিতে পরে কী হয়েছে জানি না।” আর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘পুলিশের ভূমিকা সদর্থক ছিল না। চৌরঙ্গির কাছে বচসা বাধে। সে সময় পুলিশ মস্তানি করেছে। সেই ক্ষোভে কর্মীরা কেউ কিছু করে থাকতে পারে।’’
ওই ঘটনার প্রতিবাদে বেলদা শহরে প্রতীকী পথ অবরোধ করে তৃণমূল। দলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘পুলিশ নিরপেক্ষই ছিল। প্রধানমন্ত্রীর উস্কানিমূলক কথাতেই বিজেপি কর্মীরা পুলিশকে পিটিয়েছে।’’