তোলা আদায়ের অভিযোগ উঠল কেশপুরের ওসি-র বিরুদ্ধে। এক বছরেরও বেশি সেই ঘটনার সূত্রেও নাম জড়াল ভারতী ঘোষের।
কেশপুরের রঞ্জিত মাঝি বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে জেলা পুলিশ সুপারের দফতরে কেশপুর থানার ওসি খন্দকর সৈফুদ্দিন আহমেদ-সহ পাঁচ পুলিশ অফিসার-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর টাকা আদায়ের সময় কেশপুরের ওসি জানিয়েছিলেন, ‘ম্যাডামে’র (তৎকালীন পুলিশ সুপার ভারতী) নির্দেশেই তিনি কাজ করছেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।” যদিও অভিযুক্ত ওসি-র দাবি, ‘‘এমন ঘটনা ঘটেনি।”
কেশপুরের ঝেঁতল্যার পিন্ডরাগেড়্যায় বাসিন্দা রঞ্জিতবাবুর দুই ছেলে স্বরূপ এবং সৌমেন মুম্বইতে সোনার কাজ করেন। রঞ্জিতবাবু জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের ২১ অক্টোবর রাতে মুম্বই থেকে দুই বন্ধুকে নিয়ে খড়্গপুরে পৌঁছন স্বরূপ। পরদিন ভাড়া গাড়িতে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। গাড়িতে রঞ্জিতবাবুও ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘কেশপুরের ওসির নেতৃত্বে পুলিশের দল গাড়ি আটকায়। ওসি বলেন, তোদের কাছে যা সোনা রয়েছে দিয়ে দে। না হলে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠাব।’’ এরপর সবাইকে থানায় নিয়ে গিয়ে ব্যাগপত্র তল্লাশি করেও সোনা মেলেনি। তখন মাথাপিছু এক লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে ছাড়া পান বলে রঞ্জিতবাবুর দাবি। যদিও পুলিশের এক সূত্রের দাবি, আগে স্বরূপদের কাছে চুরি যাওয়া সোনাও মিলেছিল।
ভারতী-মামলায় ঘুরে ফিরে আসছে সোনার প্রসঙ্গ। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যবসায়ী ইউনুস আলি মণ্ডলের আনা টাকা হাতানোর অভিযোগেও সোনার হাতছানি দেখছে সিআইডি। গোয়েন্দারা মনে করছেন, ওই ৪৫ লক্ষ টাকাতেও সম্ভবত সোনা কেনা হয়েছে। সিআইডি-র এক কর্তা বলেন, “ওই ঘটনার দু’মাসের মধ্যে নোটবন্দি হয়। জেনেবুঝে অতগুলো পুরনো নোট কেউ ফেলে রাখবে না।”
১২ দিন সিআইডি হেফাজতের পরে দাসপুর সোনা প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত বিমল ঘোড়ইকে এ দিন ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে ঘাটাল আদালত। অন্য অভিযুক্ত রাজমঙ্গল সিংহ, ঘাটাল থানার প্রাক্তন ওসি চিত্ত পাল এবং প্রাক্তন সিআই শুভঙ্কর দে-কে আজ, শুক্রবার তোলা হবে ঘাটাল আদালতে।