সঞ্জয় রায়
ঠিক কী পরিস্থিতিতে ডানকুনির সঞ্জয় রায়কে ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করল ফুলবাগান থানা।
সঞ্জয়ের স্ত্রী রুবির এফআইআর-এর ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে এসএসকেএমে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন ফুলবাগান থানার তদন্তকারীরা। ঠিক কী অবস্থায় সঞ্জয় এসএসকেএমে পৌঁছেছিলেন, তা শোনেন তাঁরা। কাগজপত্রও খতিয়ে দেখেন।
কোন অবস্থায় অ্যাপোলো হাসপাতাল সঞ্জয়কে ছেড়েছিল, তা নিয়ে ওই হাসপাতাল ফুলবাগান থানায় কাগজপত্র জমা দিয়েছে। অ্যাপোলোর চিকিৎসকদের সঙ্গেও এ ব্যাপারে কথা হয়েছে তদন্তকারীর। এ বার এসএসকেএম এবং অ্যাপোলোর বয়ান-কাগজপত্র খতিয়ে দেখবে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি তদন্ত করছে স্বাস্থ্য ভবনও। মৌখিক বয়ানের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে এ দিন লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়ে এলেন সঞ্জয় রায়ের পরিবারের লোকেরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁরা যখন স্বাস্থ্য ভবনে যান, ততক্ষণে রূপালি বসুর পদত্যাগের খবরটি সকলে জেনে গিয়েছেন। লড়াইয়ের প্রাথমিক ধাপে এই খবরটি তাঁদের মানসিক জোর জোগাবে বলেই জানিয়েছেন সঞ্জয়ের আত্মীয়েরা।
সঞ্জয়ের জামাইবাবু রাজেশ পাল বলেন, ‘‘আমরা ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি এনেছি, তা যে ভিত্তিহীন নয়, এই সিদ্ধান্তে সেটা অন্তত প্রমাণ হল।’’ এই ঘটনায় রাজ্য প্রশাসন গোড়া থেকে যে ভাবে কঠোর মনোভাব দেখিয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই এটা হল বলে মনে করছেন তাঁরা। সঞ্জয়ের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়েও এ দিন বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য ভবনের তদন্ত কমিটির সদস্যরা।