EM Bypass Murder

বাইপাস-কাণ্ড: সেই রাতে পাঁচ বার কোপানো হয়েছে রফিয়াকে! তরুণীর শরীরে মিলেছে গভীর ক্ষতচিহ্নও

বাইপাসের ধারে ধাবার ঘটনায় মৃত তরুণীর শরীরে গভীর ক্ষত পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর শরীরে পাঁচটি কোপের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:০০
Share:

বৃহস্পতিবার রাতে বাইপাসের ধারে একটি ধাবায় হামলা হয় তরুণীর উপর। মৃত তরুণীর দেহে পাঁচটি কোপের চিহ্ন মিলেছে। — প্রতীকী চিত্র।

বাইপাসের ধারে একটি ধাবায় এক তরুণীর উপর হামলা-রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। রফিয়া সাকিল শেখ নামে ওই তরুণীর দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে এসেছে। সূত্রের খবর, তরুণীর শরীরে পাঁচটি কোপের আঘাত পাওয়া গিয়েছে। শরীরে গভীর ক্ষতও ছিল। আঘাতের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে উঠে এসেছে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে। ঘটনার পর প্রত্যক্ষদর্শীরাও জানিয়েছিলেন রফিয়ার গলায় কাটা দাগের কথা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে বাইপাসের ধারে ওই ধাবায় তরুণীর উপর হামলা হয়। ঘটনায় ইতিমধ্যে এক মহিলা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধরা পড়েছে এক নাবালকও। তাকে একটি হোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড। বাকি দুই অভিযুক্ত বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, বিবাহ বহির্ভূত কোনও সম্পর্কের জেরে খুন করা হয়ে থাকতে পারে রফিয়াকে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ বাইপাসের ধারে ওই ধাবায় খেতে বসেছিলেন তরুণী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক ব্যক্তি। পুলিশের সন্দেহ ওই ব্যক্তির সঙ্গেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল রফিয়ার।

ধাবায় যখন রফিয়া এবং ওই ব্যক্তি খেতে বসেন, তখনই আচমকা তাঁদের উপর চড়াও হন তিন জন। ওই ব্যক্তির স্ত্রী এবং তাঁদের ১৬ বছরের পুত্র ছাড়াও ছিলেন আর এক যুবক। তিনি নাবালকের তুতো ভাই। তাঁদের দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান ওই ব্যক্তি। এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে খবর, রফিয়ার উপর প্রাণঘাতী হামলা চালায় ওই ব্যক্তির নাবালক পুত্র। একাধিক বার কোপানো হয় বলে অভিযোগ। সেই রাতেই তরুণীকে গুরুতর জখম অবস্থায় এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর।

Advertisement

পুলিশের সন্দেহ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিশোধ নিতেই তরুণীর উপর এই হামলা চালিয়েছে ওই ব্যক্তির পরিবার। তবে এই মামলার তদন্তে ওই ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে তাঁর খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। তবে তিনি কোথায় রয়েছেন, কী অবস্থায় রয়েছেন, সে বিষয়ে কোনও তথ্য এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। বৃহস্পতিবার রাতে ঠিক কী ঘটেছিল, তা আরও স্পষ্ট হতে পারে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেই কারণে তাঁর বয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে পুলিশ। বিশেষ করে তরুণীর সঙ্গে তাঁর কী ভাবে আলাপ হয়েছিল, বৃহস্পতিবার কেন রফিয়ার সঙ্গে তিনি দেখা করতে গিয়েছিলেন— সেই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement