ফাইল ছবি।
কারও বিদ্যুৎ বিল বাকি এক লক্ষ টাকার। আবার মাত্র এক টাকা বিল বাকি আছে, এমন নামও আছে। কিন্তু সরকারি হিসেবে তা বকেয়াই।
স্বাস্থ্য দফতরের এমনই প্রায় ১৭০০টি বড় হাসপাতাল, গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের অফিসের নাম, ঠিকানা ও বকেয়া বিলের তালিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য ভবন। যত দ্রুত সম্ভব বকেয়া বিদ্যুৎ বিল মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ দফতরের খবর, বিলের কোটি কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে কৃষি, সেচ, পঞ্চায়েত ও নগরোন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, স্বরাষ্ট্র প্রভৃতি দফতরের। স্বাস্থ্য ভবন বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দেওয়ায় আলোচনা শুরু হয়েছে অন্যান্য দফতরে। সরকারি হিসেব বলছে, অত্যন্ত বেশি মাত্রায় বিল বাকি আছে নদিয়া, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়।
বকেয়া বিল নিয়ে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার চেয়ারম্যান রাজেশ পাণ্ডের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক হয় স্বাস্থ্যসচিব রাজীব সিনহার। তার পরেই স্বাস্থ্য ভবন থেকে ১৮ জেলার বকেয়া বিলের তালিকা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যসচিব চান, বকেয়া বিল যেন দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য ভবনের হিসেবে ২০১৮-র মে পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্বাস্থ্যকর্তাদের অফিসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে ২০ কোটি টাকার। এখন বণ্টন সংস্থার আর্থিক পরিস্থিতি যা, তাতে ওই বিল আদায় হলে বিদ্যুৎ ভবনের সুরাহা হবে, জানাচ্ছেন প্রশাসনের কর্তারা।