ঘরে বাইরে ৩

শিশুর খাদ্যে আপস কেন?

ব্রেস্ট-পাম্পের সাহায্যে দুধ মজুত করুন ফ্রিজে। বাড়ির বাইরে মা থাকবেন যে সময়টা, ওই দুধ খাওয়ানো যাবে শিশুকে। বাজারের প্যাকেট দুধের সঙ্গে আপস করবেন না কখনওই।ব্রেস্ট-পাম্পের সাহায্যে দুধ মজুত করুন ফ্রিজে। বাড়ির বাইরে মা থাকবেন যে সময়টা, ওই দুধ খাওয়ানো যাবে শিশুকে। বাজারের প্যাকেট দুধের সঙ্গে আপস করবেন না কখনওই।

Advertisement

শমিকা মাইতি

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০০:৫৩
Share:

বুকের দুধ সংগ্রহ ও মজুতের বিষয়টি এখনও অজানা অনেকের। জেলায় ভাল ব্র্যান্ডের ব্রেস্ট-পাম্প পাওয়া কঠিন। তবে, কলকাতার বড় দোকানে, মলে বা অনলাইনে নানা ব্র্যান্ডের ব্রেস্ট-পাম্প পাওয়া যায়। দাম এক হাজার থেকে হাজার আড়াই-তিনের মধ্যে। কম দামে ওষুধ দোকানে এক ধরনের ব্রেস্ট-পাম্প পাওয়া যায়। সেটি অতিরিক্ত দুধ টেনে ফেলার জন্য, খাওয়ানোর জন্য নয়।

Advertisement

ব্রেস্ট-পাম্পের বিভিন্ন অংশ ভাল করে ইষদুষ্ণ সাবান জলে ধুয়ে নিন। স্টেরিলাইজ করলে ভাল। সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন প্রতি বার।

Advertisement

পাম্পে দুধ সংগ্রহের আগে বিরতি নেবেন। ভোরবেলা বা কর্মক্ষেত্র থেকে ফিরে, বা রাতে সন্তান ঘুমিয়ে যাওয়ার পর বেশি দুধ সংগ্রহ করা যায়।

সংগৃহীত দুধ বাইরে রাখলে ৩-৪ ঘণ্টা থাকবে। ফ্রিজে রাখলে এক দিন ভাল থাকে। প্লাস্টিকের ‘এয়ার-টাইট’ পাত্রে দুধ রাখুন। কাচের পাত্রে নয়।

একাধিক পাত্রে দুধ রাখলে কোনটা আগের, কোনটা পরের, ‘মার্ক’ করুন। আগেরটা আগে খাওয়াবেন।

ফ্রিজে রাখা দুধের উপরে সর পড়ে। ধীরে পাত্রটি নেড়ে নিন।

ফ্রিজের দুধ সরাসরি গ্যাসে বা মাইক্রোওভেনে গরম করবেন না। ছোট পাত্রে গরম জল নিয়ে তার উপরে দুধের পাত্রটি রেখে দিন মিনিট পাঁচেক।

একবার দুধ বাইরে এনে গরম করলে তা আবার ফ্রিজে রাখবেন না। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে না-খেলে ফেলে দিন।

স্তনের গঠনগত ত্রুটির কারণে অনেক সময় শিশুরা দুধ টানতে পারে না। আবার অসুস্থতার কারণে অনেক সময় মায়েদের সন্তানের থেকে দূরে রাখা হয়। ব্রেস্ট-পাম্পের সুফল ভোগ করতে পারেন আরও অনেকে।

সেরা পাঁচ

সামনে পুজো। বাড়িতে আত্মীয়-বন্ধুরা আসবে, আপনিও যখন-তখন ঘুরতে বেরোবেন।
খেয়ালও থাকবে না সব দিকে। আগে থেকে সজাগ হোন। রইল বাড়ি নিরাপদে রাখার পাঁচটি উপায়।

রান্নাঘরের কাজ শেষ হলেই গ্যাস সিলিন্ডার বন্ধ করুন। পাইপে কোনও সমস্যা হলেও বিপদ হবে না।

ব্যবস্থা রাখুন ব্যাটারি-চালিত আলোর। যাতে হঠাৎ বিদ্যুৎ গেলেও ঘণ্টা তিনেক কাজ চলে যায়।

দরজা, জানলার কাচ, ছিটকিনি ঠিক আছে কি না দেখে নিন। দেখে নিন সদর দরজার তালাও।

পোকামাকড় মারার বিষ, চক বা স্প্রে ঢুকিয়ে রাখুন। যাতে চট করে তা শিশুদের হাতে না পৌঁছয়।

সমস্ত স্যুইচ ও প্লাগ পয়েন্ট দেখে নিন। কোথাও শর্ট সার্কিট থাকলে ধরা পড়ে যাবে আগেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন