মুখ্যমন্ত্রী চাইলেও পাহাড়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা চান না গুরুঙ্গ।
এ বার পাহাড় সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শাখা কার্শিয়াঙে করা হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন তাঁর সামনে মুখ না খুললেও মুখ্যমন্ত্রী পাহাড় ছাড়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জিটিএ প্রধান তথা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীকে সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানালেন। গুরুঙ্গের যুক্তি, পাহাড়ের জন্য আলাদা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প কেন্দ্রের কাছে জমা পড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় পাহাড়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২৫ অগস্ট ‘ক্লিন অ্যান্ড গ্রিন দার্জিলিং’ প্রকল্পের সূচনা অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী গুরুঙ্গের উপস্থিতিতেই মঞ্চে বলেছিলেন, ‘‘আমরা প্রেসিডেন্সিকে ৩০ কোটি টাকা দিচ্ছি। এর মধ্যে প্রেসিডেন্সি কার্শিয়াঙের ডাউহিল স্কুলে হিমালয়ান সেন্টার খুলবে। কার্শিয়াঙের প্রস্তাবিত এডুকেশন হাবের অধীনে থাকবে সেটি।’’ তার পরে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত পাহাড়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যে জিটিএ-র তরফে কিছুই জানানো হয়নি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পাহাড় ছাড়তেই গুরুঙ্গ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘কার্শিয়াঙে প্রেসিডেন্সির ক্যাম্পাস খোলাও একটি সদর্থক ঘোষণা। কার্শিয়াঙে এডুকেশন হাব হবে— তা খুবই ভাল উদ্যোগ। কিন্তু পাহাড়বাসী তাঁর কাছে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আবেদন করেছেন। কারণ এই ইউনিট হলে পাহাড়ে বিরূপ প্রভাব পড়বে। কেন্দ্র তা হলে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রক্রিয়া থেকে পিছিয়ে আসতে পারে।’’
এর পরেই গুরুঙ্গ লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ের ছাত্রছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য আন্তরিকভাবে ভাবছেন, এটা খুবই ভাল বিষয়। তবে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ই এর একমাত্র সমাধান।