২% কর প্রস্তাব বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে

বেসরকারি হাসপাতালে বেনিয়ম রুখতে কড়া হয়েছে রাজ্য সরকার। আইন পাশের পরে তৈরি হয়েছে নতুন স্বাস্থ্য কমিশন। এই পরিস্থিতিতে সরকার বা আম জনতার সঙ্গে তাঁদের সংঘাতের বাতাবরণ সহজ করতে নতুন ভাবনাচিন্তা করছেন বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একাংশ।

Advertisement

সন্দীপন চক্রবর্তী

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৭ ০৪:০২
Share:

বেসরকারি হাসপাতালে বেনিয়ম রুখতে কড়া হয়েছে রাজ্য সরকার। আইন পাশের পরে তৈরি হয়েছে নতুন স্বাস্থ্য কমিশন। এই পরিস্থিতিতে সরকার বা আম জনতার সঙ্গে তাঁদের সংঘাতের বাতাবরণ সহজ করতে নতুন ভাবনাচিন্তা করছেন বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একাংশ।

Advertisement

বেসরকারি হাসপাতালগুলির কর্তাদের সঙ্গে এ যাবৎ রাজ্য প্রশাসনের যা আলোচনা হয়েছে, সেখানেই প্রশ্ন উঠেছে— ১০% ফ্রি বেড রাখার নীতি তাঁরা কেন মেনে চলছেন না? হাসপাতালের জন্য জমি নেওয়ার ক্ষেত্রে চুক্তির শর্তে কী ছিল, তা-ও খুঁজে দেখছে স্বাস্থ্য প্রশাসন। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলির কর্তৃপক্ষের একাংশের বক্তব্য, ১০% ফ্রি বেড রাখার পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিল্লি-সহ কয়েকটি রাজ্যে বিশেষ কাজে দেয়নি। নিখরচার ওই শয্যায় কোন ধরনের রোগীকে ভর্তি নিয়ে কী চিকিৎসা করা হবে, তা হাসপাতালই ঠিক করে। নিজেদের তহবিল থেকে জটিল রোগের চিকিৎসা ওই ক্ষেত্রে কেউই করতে চায় না। তার চেয়ে বেসরকারি হাসপাতালের প্রতি মাসে যা মোট ব্যবসার পরিমাণ, তার উপরে সরকার ২% হারে কর ধার্য করলে কাজের কাজ হবে বলে মনে করছেন বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের কিছু কর্তা। প্রতি মাসে পাওয়া ওই টাকা বরং সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য ভাল করতে পারবে।

বিদেশের একটি হাসপাতাল গোষ্ঠীর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ আছে, কলকাতার এমন একটি বেসরকারি হাসপাতালের শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘১০% ফ্রি বেড মোটেও বাস্তবসম্মত বিষয় নয়। তার চেয়ে আমাদের মোট ব্যবসার অঙ্কের উপরে (লভ্যাংশ নয়) সরকার মাসে ২% করে চার্জ নিক। সেই করের যে নামই হোক না কেন। তাতে প্রতি মাসে ভাল পরিমাণ টাকা যাবে সরকারের ঘরে।’’ ওই কর্তার যুক্তি, ‘‘বেসরকারি ক্ষেত্র থেকে পাওয়া করের টাকায় সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত করা হোক। তখন আর ১০% ফ্রি বেডের জন্য বেসরকারি হাসপাতালে পাঠাতে হবে না গরিব মানুষকে।’’ অ্যাপোলোয় এক জন রোগীর মৃত্যু ঘিরে রাজ্য সরকার বেসরকারি হাসপাতালের কাজকর্মের উপরে কড়া নজরদারি শুরু করার পরে কলকাতার কিছু হাসপাতাল ও নার্সিং হোমের কর্তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় ওই ২% করের প্রস্তাব ভেবেছেন। কিন্তু চেষ্টা করেও রাজ্য সরকারের সঙ্গে এখনও তাঁদের আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।

Advertisement

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী শশী পাঁজা এই নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তবে সরকারি এক আধিকারিকের বক্তব্য, ‘‘প্রস্তাব খারাপ নয়। ওঁদের সঙ্গে আলোচনা হলে ভেবে দেখা যেতে পারে। সকলেই এমন প্রস্তাবে রাজি কি না, তা-ও দেখতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন