কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচী ছবি সংগৃহীত।
বিধায়কদের দলবদলের ঘটনায় স্পিকারের ‘নিষ্ক্রিয়তা’ নিয়ে টিভি চ্যানেলে সমালোচনামূলক মন্তব্য করায় কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচীকে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস পাঠাল বিধানসভা। তাঁকে ৭ দিনের মধ্যে মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। কৌস্তুভ অবশ্য তাঁর মন্তব্য থেকে সরে আসতে নারাজ। প্রসঙ্গত, বিধানসভা পরিচালনায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে বাইরে বিরূপ মন্তব্য করায় কংগ্রেসের বর্ষীয়ান আইনজীবী-নেতা অরুণাভ ঘোষের সাজা হয়েছিল স্বাধিকার ভঙ্গের দায়ে। বিধানসভায় তাঁকে ‘কারাদণ্ড’ দেওয়া হয়েছিল।
বিজেপির টিকিটে জিতে মুকুল রায়ের মতো বিধায়ক তৃণমূল ভবনে গিয়ে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দলবদল করেছেন, সকলে দেখেছেন কিন্তু স্পিকার ‘চোখে ঠুলি পরে আছেন’— এই সংক্রান্ত এবং জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে কিছু মন্তব্য টিভি চ্যানেলের শো’য়ে করেছিলেন কৌস্তুভ। তার প্রেক্ষিতে মুখ্য সরকারি সচেতক নির্মল ঘোষ তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনেন। প্রিভিলেজ কমিটিতে সেই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পরে বিধানসভার সচিব নোটিস পাঠিয়েছেন, যা কৌস্তুভের কাছে পৌঁছেছে সোমবার। সরকারি পক্ষের যুক্তি, স্পিকারের ভূমিকা সম্পর্কে বিধানসভার বাইরেও কোনও সমালোচনা করা যায় না। সেই জন্যই নিয়ম মেনে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনা হয়েছে। কৌস্তুভের পাল্টা বক্তব্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে নয়, সঙ্গত কারণেই তিনি সমালোচনা করেছেন। সেই অবস্থান তিনি বিধানসভাকে জানিয়ে দেবেন।