Entrance Examination

ভর্তি প্রক্রিয়ায় থাকছেন যাদবপুরের অধ্যাপকরাই, ঘোষিত প্রবেশিকার দিন

অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠকের পর বিষয়টি স্পষ্ট করে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “ভর্তি প্রক্রিয়ায় আমাদের অধ্যাপকরাই যুক্ত থাকছেন। বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৮ ১৯:৫৫
Share:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।- নিজস্ব চিত্র।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা বিভাগে ভর্তি প্রক্রিয়ায় বাইরের কেউ যুক্ত থাকছেন না। দায়িত্বে থাকবেন বিভাগীয় অধ্যাপকরাই। বুধবার‘অ্যাডমিশন কমিটি’-র বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে পরীক্ষার দিনক্ষণও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

প্রবেশিকায় স্বচ্ছ্তা এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ অধ্যাপকই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁরা ভর্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন না।

মঙ্গলবার প্রবেশিকা পরীক্ষা ফের কথা ঘোষণা হলেও, বোঝা যাচ্ছিল না ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা থাকবেন কি না। এদিন অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠকের পর বিষয়টি স্পষ্ট করে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “ভর্তি প্রক্রিয়ায় আমাদের অধ্যাপকরাই যুক্ত থাকছেন। বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

Advertisement

আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশিকার প্রত্যাবর্তন, অব্যাহতি চাইছেন উপাচার্য, সহ-উপাচার্য

আরও পড়ুন: হস্টেল চাই, অনশনে অনড় হবু ডাক্তারেরা

শিক্ষক সংগঠন জুটার তরফ পার্থপ্রতীম রায় বলেন, তারা বরাবরই প্রবেশিকার পক্ষে ছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরেই কলা বিভাগের ছ’টি বিষয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে পড়ুয়ারা ভর্তি হয়ে আসছেন। এবারেও ভর্তির সঙ্গে অধ্যাপকরাও যুক্ত থাকবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ইংরাজি এবং বাংলা বিভাগের পরীক্ষা হবে ২১ ও ২৩ জুলাই। দর্শন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পরীক্ষা হবে ২৪ জুলাই। তুলনামূলক সাহিত্য ও ইতিহাস পরীক্ষা হচ্ছে ২৫ জুলাই। পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় জানা যাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে।

‘অ্যাডমিশন টেস্ট’-এর ফলের সঙ্গে বোর্ডের পরীক্ষার ফল যোগ করে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। বোর্ডের পরীক্ষার ৫০ শতাংশ ও প্রবেশিকা পরীক্ষার ৫০ শতাংশের যোগফল থেকে তৈরি হবে সেই মেধা তালিকা।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আমাদের দাবি মতো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব কিছু মেনে নিয়েছে। আউটসোর্সিং করে ভর্তি প্রক্রিয়া হচ্ছে না। আমাদের অধ্যাপকরাই সব কিছুর দায়িত্বে থাকবেন। পাশাপাশি প্রবেশিকাও ফিরেছে। তাই এখন আর আন্দোলনের প্রয়োজন নেই বলেই আমারা মনে করছি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন