মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি এখনই শুরু করে দিচ্ছে তৃণমূল। ১ ডিসেম্বর হাড়োয়ার সার্কাস ময়দানে তেমনই এক সভায় হাজির থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে সভাকে কার্যত ‘দেখিয়ে দেওয়ার’ সভা বলে দাবি করছে দল। মুখে বিজেপি-কে চ্যালেঞ্জ ছোড়ার কথা বলা হলেও হাড়োয়ার সভা যে আসলে দলত্যাগী মুকুল রায়কে বুঝিয়ে দেওয়ার কর্মসূচি তা স্পষ্ট। মুকুল আদতে উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। তাই তাঁর জেলাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে রেখে বিশাল জনসমাগমের আয়োজন করতে চলেছে তৃণমূল।
তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘সার্কাস ময়দানে এক লাখ লোক ধরে, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ২ লাখ লোক আনা হবে। দেখিয়ে দেব, দলটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর কারও নয়।’’
এ দিন প্রথমে বিধানসভায়, পরে দলের মধ্যমগ্রাম অফিসে বসে জনসভার দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। কিন্তু দু’টি বৈঠকের কোনওটিতেই মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায় ছিলেন না। কেন? শুভ্রাংশুর কথায়,‘‘আমার শরীর খারাপ। সুগার বেড়েছে। স্পিকারের কাছে ছুটি চেয়ে আবেদন জানিয়েছি। ডাক্তারের পরামর্শেই বিশ্রাম নিচ্ছি।’’
জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘আশা করব শুভ্রাংশুর শুভবুদ্ধির উদয় হবে।’’ সূত্রের খবর, শুভ্রাংশু ইতিমধ্যেই দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে জানান, তিনি তৃণমূলেই থাকবেন। পাশাপাশি যে ভাবে তাঁকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে, তা থেকেও দলীয় নেতাদের বিরত রাখার অনুরোধ করেছেন তিনি। শুভ্রাংশু এ দিন জানান, শরীর খারাপ থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক ও জনসভায় উপস্থিত থাকবেন।