Covid-19

মেডিক্যালে ‘তালা’ খুলতে আন্দোলন

জুনিয়র ডাক্তারদের ক্ষোভ, এত কষ্ট করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মতো প্রথম সারির প্রতিষ্ঠানে এমডি-তে সুযোগ পাওয়ার পরে এখন সেখানে বিভিন্ন রোগীর চিকিৎসার মাধ্যমে তালিম নেওয়ার পথও বন্ধ তাঁদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২০ ০২:১০
Share:

প্রতীকী ছবি

হাসপাতালের ন’টি ভবনের চারটি করোনা রোগীতে আংশিক ভর্তি। আর যত ব্যস্ততা সেখানেই। অন্য চারটি ভবন কার্যত ফাঁকা। অথচ অপেক্ষায় অজস্র আশঙ্কাজনক রোগী। কারও ক্যানসারের টিউমারের প্রাক্‌-অস্ত্রোপচার কেমোথেরাপি থমকে আছে। কারও বা শিরদাঁড়ায় ছড়িয়ে পড়া ক্যানসারের চিকিৎসায় রেডিয়েশন বন্ধ মাসের পর মাস। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতাল ‘আনলক’ বা তালামুক্ত করার ডাক দিয়ে পাশাপাশি ভবনে কোভিড ও নন-কোভিড রোগীর চিকিৎসা চালু করার দাবিতে আন্দোলনের পথে হাঁটছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার ও ইন্টার্নদের একাংশ।

Advertisement

ইতিমধ্যে কলেজের অধ্যক্ষার সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। গত সোমবার জুনিয়র ডাক্তারেরা রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা (শিক্ষা) দেবাশিস ভট্টাচার্যের সঙ্গেও মুখোমুখি কথা বলেছেন। দেবাশিসবাবু বলেন, “চিকিৎসক-ছাত্রদের কথা শুনেছি। অতিমারির মধ্যে সব কিছু স্বাভাবিক হোক চাইলেও পরিস্থিতি কঠিন। কিছু একটা ব্যবস্থা দ্রুত হবে।” জুনিয়র ডাক্তারদের ক্ষোভ, এত কষ্ট করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মতো প্রথম সারির প্রতিষ্ঠানে এমডি-তে সুযোগ পাওয়ার পরে এখন সেখানে বিভিন্ন রোগীর চিকিৎসার মাধ্যমে তালিম নেওয়ার পথও বন্ধ তাঁদের। তবে মহানগরীর কাছে-দূরে জটিল অসুখের শিকার রোগীদের প্রাণান্তকর দশা তার থেকেও যন্ত্রণাদায়ক।

আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে ৭০-৮০ জন রোজই নিয়মিত হাসপাতালের অধ্যক্ষার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, আলোচনা করছেন। মেডিক্যাল সূত্রের খবর, কলেজ কাউন্সিলের সঙ্গে হাসপাতালের কর্তাদের আলোচনায় চিকিৎসক-ছাত্রদের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। তবে বাস্তবে সুপার স্পেশালিটি ভবন, গ্রিন বিল্ডিং, শিশু ও প্রসূতির পরিচর্যা কেন্দ্রের সামান্য অংশ এবং ইডেন হসপিটালে স্ত্রীরোগ ওয়ার্ডে সামান্য কয়েকটি শয্যা বাদ দিলে হাসপাতাল প্রায় ফাঁকা। চিকিৎসা চলছে শুধু করোনা রোগীদেরই। ইমার্জেন্সিতেও শ্বাসকষ্টের রোগী এলে তাঁদের নির্দিষ্ট জায়গায় পাঠানো হচ্ছে।

Advertisement

জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে অ্যানেস্থেশিয়া প্রথম বর্ষের এমডি স্তরের ছাত্র দেবাশিস হালদার বা রেডিয়োলজি তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী স্নিগ্ধা হাজরা বলছেন, “যা পরিস্থিতি, তাতে আগামী মঙ্গলবার থেকে হয়তো অবস্থানে বসব।” তবে অবস্থানের পাশাপাশি যার যেমন কাজের দায়িত্ব পড়ছে, তা চালিয়ে যেতে চান চিকিৎসক-পড়ুয়ারা। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা অবশ্য বলছেন, “সরকারি নির্দেশিকায় হাসপাতালের অন্য রোগীদের জন্য অন্যত্র ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে। চাইলেও অতিমারির মধ্যে রাতারাতি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্বাভাবিক হওয়া মুশকিল।”

আরও পড়ুন: কোল ইন্ডিয়ায় ধর্না

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন