ট্রাক চালক খুনে ধৃত দুই

ট্রাক ছিনতাই করার পরে ঝাড়খণ্ডের এক ট্রাক চালক খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল হুড়া থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম আকাশ বর্মা এবং রতন ওরফে কুন্দন বর্মা। আকাশ বর্ধমানের জামুড়িয়া থানার শ্রীপুরের বাসিন্দা। দ্বিতীয় জন থাকে রানিগঞ্জে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হুড়া শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৬ ০০:১৯
Share:

ট্রাক ছিনতাই করার পরে ঝাড়খণ্ডের এক ট্রাক চালক খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল হুড়া থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম আকাশ বর্মা এবং রতন ওরফে কুন্দন বর্মা। আকাশ বর্ধমানের জামুড়িয়া থানার শ্রীপুরের বাসিন্দা। দ্বিতীয় জন থাকে রানিগঞ্জে। পুলিশের দাবি, শনিবার রাতে আকাশকে জামুড়িয়ার নিঘা থেকে এবং কুন্দনকে সাঁতুড়ি থানা এলাকার একটি ধাবার কাছ থেকে ধরা হয়। এর আগে ওই ঘটনায় ওই ট্রাকের খালাসি-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ৬ ফেব্রুয়ারি পুরুলিয়া-বাঁকুড়া ৬০-এ জাতীয় সড়কের ধারে, হুড়া থানার কুলগোড়া মোড়ের কাছে একটি কালভার্টের নীচে দীপক মাহাতো (৩৬) নামে এক ট্রাক চালকের নগ্ন দেহ মেলে। তাঁর গলার নলি কাটা ছিল। প্রথমে পুলিশ নিহতের পরিচয় উদ্ধার করতে পারেনি। বিভিন্ন থানায় ছবি পাঠানো হলেও সূত্র মেলেনি। হঠাৎই ঘটনা নতুন মোড় নিতে শুরু করে। দেহ উদ্ধারের কিছুদিন পরে জামশেদপুরের বীরসানগর এলাকার একটি পরিবহণ সংস্থার কয়েক জন কর্মী বলরামপুর থানায় এসে জানান, এই জেলা থেকেই তাঁদের খনিজ পদার্থ বোঝাই একটি ট্রাক লুঠ হয়েছে। চালকের খোঁজ মিলছে না। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ও ছবি দেখিয়ে পুলিশ জানতে পারে, হুড়ায় কালর্ভাটের নীচে পড়ে থাকা দেহটি সেই লুঠ হওয়া ট্রাক চালকের। যাঁর নাম দীপক মাহাতো। তাঁরও বাড়ি বীরসানগরে। পুরুলিয়া জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, ওই পরিবহণ কর্মীদের সঙ্গে এসেছিল লুঠ হওয়া ট্রাকের খালাসি দিলীপ ঠাকুর। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে লুঠের স্থানকাল, সময় নিয়ে সে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিতে থাকে। দিলীপ পুলিশকে জানিয়েছিল, রেলের একটি লেভেল ক্রসিংয়ের কাছ থেকে ট্রাকটি ছিনতাই করার পরে দুষ্কৃতীরা তাকে ট্রাক থেকে তাকে নামিয়ে দেয়। পুলিশকে জানালে ফল খারাপ হবে বলে তাকে হুমকিও দেয়। পরে জেরায়
দিলীপের কাছ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পেয়ে পুলিশ আরও কয়েক জনকে গ্রেফতার করে।

চলতি জানুয়ারিতে পুলিশ কলকাতার নিউটাউন থেকে রাহুল সিংহ নামে এক জনকে ধরে। তার হেফাজতেই ওই চোরাই ট্রাকটি রাখা হয়েছিল বলে পুলিশ জেনেছিল। কিন্তু, রাহুলের কাছেও লুঠ হওয়া ট্রাকের হদিস মেলেনি। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার বলেন, ‘‘ট্রাকটি ছিনতাই করে যন্ত্রাংশ খুলে সেটিকে ভ্যানিশ করে দেওয়ার কাজে যুক্ত ছিল আকাশ ও কুন্দন। এই পাচার চক্র কত দিন ধরে সক্রিয়, অন্যত্রও এরা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে কিনা— তা জানতে ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন