পথ দুর্ঘটনায় মৃত দুই

একটি এসইউভি-র সঙ্গে ডাম্পারের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল এসইউভি-র দুই যাত্রীর। আহত আরও আট জন। জলপাইগুড়ি থেকে দুর্গাপুরে যাওয়ার পথে বুধবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়ির তিলপাড়া ব্যারাজের উপর রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর রাজ্য সড়কে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন নেহা ঝা (১৯) এবং ভাস্কর বসাক (২৭)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:২৩
Share:

দুর্ঘটনার পরের ছবি। (ইনসেটে) দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র

একটি এসইউভি-র সঙ্গে ডাম্পারের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল এসইউভি-র দুই যাত্রীর। আহত আরও আট জন।

Advertisement

জলপাইগুড়ি থেকে দুর্গাপুরে যাওয়ার পথে বুধবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়ির তিলপাড়া ব্যারাজের উপর রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর রাজ্য সড়কে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন নেহা ঝা (১৯) এবং ভাস্কর বসাক (২৭)। বাড়ি জলপাইগুড়ির গভর্মেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ক্যাম্পাস এলাকায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দু’টি এসইউভি-তে চড়ে দুর্গাপুরের একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছিলেন একই পরিবারের বেশ কয়েক জন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিতে আরোহীর সংখ্যা ছিল চালক-সহ মোট দশ জন। বুধবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ তিলপাড়া ব্যারাজের উপরে জাতীয় সড়ক ধরেছিলেন তাঁরা। ঠিক তখনই উল্টো দিক থেকে তীব্র গতিতে আসা একটি ডাম্পারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই ছিল যে কার্যত দুমড়ে মুচড়ে যায় এসইউভি। সকলেই গুরুতর জখম হন। দমকল ও পুলিশের সাহায্যে আহত সকলকে সিউড়ি হাসপাতালে এনে ভর্তি করানো হয়। পরে দু’জনের মৃত্যু হয়।

Advertisement

এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ সিউড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের কেউ-ই কথা বলায় অবস্থায় ছিলেন না। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির ঠিক সামনের আর একটি এসইউভি-তে ছিলেন আত্মীয় সুনীল ঝা। তিনি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ জলপাইগুড়ি থেকে আমরা দু’টি গাড়িতে বেরিয়েছিলাম। আমাদের মধ্যে মোবাইলে কথাবার্তা হচ্ছিল। দুর্ঘটনার সময়ে আমাদের গাড়িটা কিছুটা এগিয়ে গিয়েছিল। খবর পেয়েই গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। গাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে সকলকে বের করার চেষ্টা করি। এমন মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটবে দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারিনি।’’

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই দমকলকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে যায়। তারা জখমদের হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে। সিউড়ি হাসপাতালের সুপার শোভন দে বলেন, ‘‘দশ জনকে ভর্তি করানো হয়েছিল। তার পরেই দু’জন মারা যান। বাকিরাও গুরুতর জখম ছিলেন। আমরা দু’জনকে বর্ধমানে স্থানান্তরিত করতে চেয়েছিলাম। আহতদের আত্মীয়দের অনুরোধে আহত সকলকেই বর্ধমানে পাঠানো হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন