পুরুলিয়ায় উদ্ধার বাড়ি পালানো তিন খুদে ছাত্র

তুষারকান্তিবাবু বলেন, ‘‘ছেলেগুলো অপহরণের কথা বললেও বিষয়টা বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছিল না। মফস্‌সল থানার ওসি দেবাশিষবাবু ও আমরা ওদের চেপে ধরতেই গোলাম হাসান নামের ওই ছাত্র জানায়, বাড়ির লোকের শাসনে তারা অভিমান করে পালিয়ে আসে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:২৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

স্কুল না যাওয়ায় বকাবকি করেছিলেন বাবা-মা। সেই অভিমানে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল ঝাড়খণ্ডের চাষ থানা এলাকার তিন খুদে। শেষ পর্যন্ত পুরুলিয়া মফস্সল থানার পুলিশ তাদের উদ্ধার করে চাইল্ড লাইনের সাহায্যে বাড়ি ফেরাল। বুধবার রাতে বারো বছরের মহম্মদ ফৈয়াজ, বছর দশের গোলাম হাসান ও তেরো বছরের মহম্মদ খালিদ নামের ওই তিন জনকে পরিবারের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছ, বুধবার বিকেলে ওই তিন বালক পুরুলিয়া মফস্‌সল থানার সিঁদুরপুর গ্রামে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘোরাঘুরি করছিল। তাদের দেখে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীর। তাঁরাই স্থানীয় এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে ঘটনাটি জানান। খবর পেয়ে পুরুলিয়া মফস্‌সল থানার পুলিশ ওই তিন জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নিয়ম মাফিক খবর দেওয়া হয় পুরুলিয়ার চাইল্ড লাইনকে। কিন্তু উদ্ধার হওয়ার পরে অপহরণের গল্প ফেঁদে ছিল দু’জন। তাতে গোড়ায় কিছুটা বিভ্রান্তি ছড়ায়।

চাইল্ড লাইনের কর্মী তুষারকান্তি পতি জানান, নাম-ঠিকানা জানালেও কী ভাবে চাষ থেকে তারা পুরুলিয়া এসে পড়ল, তা জানতে চাওয়ায় দু’জন অপহরণের গল্প শোনায়। ওরা বলে, এক ব্যক্তি তাদের মুখে কাপড় বেঁধে গাড়িতে তুলেছিল। মাঝ পথে সুযোগ বুঝে গাড়ি থেকে পালিয়ে আসে তারা।

Advertisement

তুষারকান্তিবাবু বলেন, ‘‘ছেলেগুলো অপহরণের কথা বললেও বিষয়টা বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছিল না। মফস্‌সল থানার ওসি দেবাশিষবাবু ও আমরা ওদের চেপে ধরতেই গোলাম হাসান নামের ওই ছাত্র জানায়, বাড়ির লোকের শাসনে তারা অভিমান করে পালিয়ে আসে।’’

পুলিশ জানিয়েছে, তিন জনই ঝাড়খণ্ডের চাষ থানার সুলতান নগরের বাসিন্দা। স্থানীয় একটি স্কুলে পড়ে। নিয়মিত স্কুলে যায় না বলে তাদের অভিভাবকেরা বকাবকি করায় বাড়ি থেকে পালিয়ে ট্রেন ও বাসে চেপে পুরুলিয়া চলে এসেছিল। তিন জনের কাছ থেকে পরিবারের মোবাইল নম্বর পেয়ে রাতেই যোগাযোগ করে চাইল্ড লাইন।

রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ চাষ থেকে গাড়িতে পুরুলিয়া মফস্‌সল থানায় আসেন ওই ছাত্রদের অভিভাবকেরা। নথিপত্র খতিয়ে দেখার পরে রাতেই তাদের হাতে তিন জনকে তুলে দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন