সুনীল সরেনের বাড়িতে সৌমিত্র খাঁ। বুধবার। নিজস্ব চিত্র।
পুরনো মামলায় জামিন নিতে বুধবার রামপুরহাট আদালতে এলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-সহ বিজেপির ৩১ জন নেতা। সরকারি আইনজীবী সুরজিত সিংহ বলেন, ‘‘সৌমিত্র খা-সহ ৩১ জন আগাম জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন। আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেছিল। বুধবার নিম্ন আদালতে অর্থাৎ রামপুরহাট এসিজেএম আদালতে জামিননামা গৃহীত হল।’’
গত বছরের ২৯ অক্টোবর পুলিশ হেফাজতে থাকা এক নাবালকের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় মল্লারপুরে। ঘটনায় দোষী পুলিশ আধিকারিকদের উপযুক্ত শাস্তি এবং ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে বিজেপি জাতীয় সড়ক অবরোধ এবং মল্লারপুর থানা ঘেরাও করে। পুলিশ বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ-সহ ৩১ জন বিজেপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় বুধবার রামপুরহাট আদালতে জামিন নেওয়ার জন্য উপস্থিত হন সৌমিত্র-সহ সকলে। বিজেপির রামপুরহাট বিধানসভা লিগ্যাল সেলের আইনজীবী অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা করেছিল। উচ্চ আদালতে অগ্রিম জামিন মঞ্জুর করেছিল।’’
এ দিন সৌমিত্র খাঁ রামপুরহাট আদালতে উপস্থিত হচ্ছেন সে কথা আগাম প্রচার হওয়ায় সকাল দশটার আগে আদালতের সামনে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা ভিড় করেন। সৌমিত্র পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে উৎসাহী বিজেপি কর্মীদের একাংশ স্লোগান দিতে থাকলে সৌমিত্র তাঁদের থামিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পরে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আইনকে সম্মান দিয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে রামপুরহাট আদালতে আজকে উপস্থিত হয়েছিলাম। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় এই মামলায় দোষী পুলিশ অফিসারদের এখনও কোনও শাস্তি হয় নি। পুলিশি অত্যাচারে পুলিশ হেফাজতে একজন নাবালকের মৃত্যু হয়েছে। আমরা সেই ঘটনার প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হয়েছিলাম। অথচ পুলিশের কোনও শাস্তি হয়নি।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘পুলিশ ও তৃণমূলের আঁতাতে পুলিশের কোনও নিজস্বতা নেই।’’
এ দিন রামপুরহাট আদালতে হাজির হওয়ার পরে দুপুরে সৌমিত্র খাঁ মহম্মদবাজারে দলীয় সভায় অংশগ্রহণ করেন। বিজেপি কর্মীরা রামপুরহাট লোটাস প্রেস মোড় থেকে মোটরসাইকেল র্যালি করে সৌমিত্রকে সঙ্গে নিয়ে সভায় যোগ দেন।