পাঁচ বিক্ষুব্ধ প্রার্থী নলহাটিতে

১৫ নম্বর ওয়ার্ডেও প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষে বৃহস্পতিবার দেবিকা মহলদার নামে এক বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নলহাটি শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৭ ০৩:০৭
Share:

শুক্রবার পর্যন্ত নলহাটির চারটি ওয়ার্ড থেকে শুধু তৃণমূলের বিক্ষুব্ধদের তরফেই পাঁচটি মনোনয়ন জমা হল। শাসকদলের প্রার্থী তালিকা ঘিরে অসন্তোষ কতটা, এতেই স্পষ্ট।

Advertisement

এ দিন বিদায়ী পুরপ্রধান রাজেন্দ্র প্রসাদ সিংহয়ের প্রতি ক্ষোভে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে রাষ্ট্রীয় লোকশক্তি দল থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়ন জমা পড়ে। এ ছাড়াও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে আর এক জন এ দিন নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেন। এই নিয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন। এঁদের মধ্যে অনিমেষ মাল নামে এক জনকে এলাকার বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা দাঁড় করিয়েছেন বলে স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি। অনিমেষ অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে ভালবেসে প্রার্থী করেছেন।

১৫ নম্বর ওয়ার্ডেও প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষে বৃহস্পতিবার দেবিকা মহলদার নামে এক বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেন। তারও আগে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে দু’জন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এ দিকে, অনেকে মনে করছেন প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ ঠেকাতে এবং গোঁজ প্রার্থী দেওয়া রুখতে বিক্ষুব্ধদের ‘চমকানোর জন্যই’ সোমবার এবং মঙ্গলবার মনোনয়ন পত্র তোলা-জমার প্রথম দু’দিন তৃণমূল কর্মীরা রামপুরহাট মহকুমা প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করেছিলেন।

Advertisement

এ দিকে, শুক্রবারও তৃণমূল ১১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীর মনোনয়ন জমা পড়েনি। ওই ওয়ার্ডের ঘোষিত প্রার্থী আয়েষা সিদ্দিকা শারীরিক অসুস্থতার জন্য অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে মনোনয়ন জমা দিতে আসেননি বলে দাবি করেছিলেন দলের নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান মইনুদ্দিন শামস। তৃণমূলেরই একটি সূত্রের দাবি, ওই ওয়ার্ডেও প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। দু’দিন পেরোলেও এখনও পর্যন্ত তৃণমূল ওই ওয়ার্ডে নতুন কাউকে প্রার্থী করতে পারেনি। ওই সূত্রটির দাবি, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বিদায়ী পুরপ্রধানের স্ত্রী প্রার্থী হতে পারেন। বিদায়ী পুরপ্রধান অবশ্য বলেন, ‘‘এ সবই রটনা।’’

নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান মইনুদ্দিন শামস বলছেন, ‘‘তৃণমূল পরিবারের মধ্যে কোনও ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকলে ভোটের আগেই তা মিটিয়ে নেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন