ভগ্নস্তূপ: অগ্নিকাণ্ডের পরে সেই ঘর। মহম্মদবাজারে। নিজস্ব চিত্র
রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে ছড়ানো আগুনে জখম হলেন একই পরিবারের পাঁচ জন। রবিবার রাতে মহম্মদবাজার থানার শেহেড়াকুড়িতে। পাঁচ জনই আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শেহেড়াকুড়ি গ্রামের মৃগেন্দ্র সিংহ পথ দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পরে স্বামীহারা দিদির বাড়িতে থাকতেন কৈলাস সিংহ। তিনি গাড়িচালক। কৈলাসের আদিবাড়ি বিহারের বাঁকায়। দিদির একতলা পাকা বাড়ি সংলগ্ন একটি ছোট চালাঘরে থাকতে সপরিবার থাকতেন কৈলাস।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ঘটনার সময় ঘরে পড়াশোনা করছিল কৈলাসের ছেলে বছর বারোর সঙ্গম এবং বছর আটেকের দিলখুশ। স্ত্রী বেবি সিংহের সঙ্গে পাশেই ছিলেন কৈলাস। বেবিদেবী রান্নার গ্যাসের ওভেন জ্বালাতেই সিলিন্ডার ফেটে যায়। আগুন লেগে যায় ঘরের খড়ের চালায়। অগ্নিদগ্ধ হন চার জন। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে জখম হন কৈলাসের দিদি নিভা সিংহও। প্রতিবেশীরা অগ্নিদগ্ধ পাঁচ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। আগুন নেভানোরও চেষ্টা করেন তাঁরা। খবর যায় দমকলে। তবে দমকল আসার আগেই পুড়ে যায় ওই ঘরের আসবাব। একটি ছাগল ও সেটির দু’টি শাবকও অগ্নিদগ্ধ হয়। দমকলের একটি ইঞ্জিন পৌঁছে আগুন নেভায়।
প্রাথমিক ভাবে দমকলের অনুমান, রান্নার গ্যাস লিক করেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। গ্যাসে ভরেছিল ঘরটি। কোনও জানলা না থাকায় দেশলাই জ্বালাতেই আগুন ধরে যায়।
প্রতিবেশী পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘চিৎকার শুনে বেরিয়ে এসেছিলাম। দেখি ঘর দাউদাউ করে জ্বলছে। কোনও ভাবে সবাই মিলে পাঁচ জনকে উদ্ধার করা হয়।’’