Students

বাদাম ভেবে খেলার মাঠে বিষাক্ত ফলের বীজ খেয়ে অসুস্থ আট শিশু! পরখ করে অসুস্থ এক মহিলাও

স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরার পর গ্রাম সংলগ্ন মাঠে খেলতে গিয়েছিল শিশুরা। খেলার ফাঁকে মাঠের ধারে কিছু ফল পড়ে থাকতে দেখে তারা। সেগুলোকে বাদাম মনে করে খোসা ছাড়িয়ে খেতে শুরু করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:৫১
Share:

এগুলোকেই বাদাম খেয়ে অসুস্থ একের পর এক শিশু। —নিজস্ব চিত্র।

খেলার মাঠে বিষাক্ত ফলের বীজ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল আট শিশু। ওই ফলের বীজ বিষাক্ত কি না, তা পরীক্ষা করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন গ্রামেরই এক প্রাপ্তবয়স্কা। ওই আট শিশু এবং মহিলাকে ভর্তি করানো হয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের তেঘরিয়া গ্রামে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবার স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরার পর গ্রাম সংলগ্ন মাঠে খেলতে গিয়েছিল শিশুরা। খেলার ফাঁকে মাঠের ধারে কিছু ফল পড়ে থাকতে দেখে তারা। সেগুলোকে বাদাম মনে করে খোসা ছাড়িয়ে খেতে শুরু করে। খেলার শেষে বাড়ি ফিরে গিয়েছিল তারা। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে একের পর এক শিশু অসুস্থ হতে শুরু করে। পেটব্যথা, বমি এবং পায়খানার মতো উপসর্গ দেখা দেয় সবার। অভিভাবকদের অসুস্থ শিশুরা জানায় মাঠে ওই ফল খেয়েছিল তারা। তাদের স্থানীয় রামসাগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। তবে পরে ওই শিশুদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদের প্রথমে ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং পরে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।

অমল মাঝি নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘বাদাম মনে করে শিশুরা বিষাক্ত ভ্যারেন্ডা ফলের বীজ খেয়ে ফেলায় এই বিপত্তি ঘটেছে। ওদের সবাই এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’’ এ নিয়ে স্থানীয় আশাকর্মী সোনালী মাঝি নন্দী বলেন, ‘‘শিশুরা একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর মিলেছিল। তাদের সবারই উপসর্গ প্রায় এক। মোট ৮ জন শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অসুস্থদের সকলের বয়স ৭ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। হাসপাতালে চিকিৎসার পর আপাতত সকলেই সুস্থ আছে। ওদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন