—প্রতীকী চিত্র।
তার্পোলিনের তাঁবু থেকে উদ্ধার করা হল এক ব্যক্তির পচাগলা মৃতদেহ। রবিবার রাতে বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার সরিষাদিঘি এলাকার ক্যানেল পাড়ের একটি অস্থায়ী তাঁবু থেকে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শ্যামলী সাঁতরা (৫৫)।
বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার সরিষাদিঘি গ্রামের বাইরে ক্যানেলের পাড়ে থাকা তার্পোলিনের একটি তাঁবু থেকে রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ পচা গন্ধ বেরোতে শুরু করে। স্থানীয়েরা পচা গন্ধ পেয়ে তাঁবুর ভেতর উঁকি দিয়ে মেঝেতে শ্যামলী সাঁতরার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এর পর পুলিশে খবর দেওয়া হলে কোতুলপুর থানার পুলিশ ওই তাঁবু থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার ভীমাহারের বাসিন্দা শ্যামলী সাঁতরার বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ ওঠে বছর ত্রিশ আগে। সেই মামলায় আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। বছর পনেরো কারাবাসের পর বছর দশেক আগে মুক্তি পান শ্যামলী। কিন্তু পরিবারের লোকজন তাঁকে বাড়িতে ফেরাতে অস্বীকার করলে শ্যামলী ভিক্ষুকের জীবন বেছে নেন। স্থানীয়দের দাবি, কারাবাসের পর প্রথম দিকে ভীমাহার গ্রামের বাইরে তার্পোলিনের তাঁবু খাটিয়ে বসবাস করলেও পরে তিনি চলে যান পার্শ্ববর্তী সরিষাদিঘি এলাকায়। সেখানেই গ্রামের প্রান্তে থাকা সেচ ক্যানালের ধারে সরকারি জমিতে একটি তাঁবু তৈরি করে তিনি গত ৫ বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা জাকির শেখ বলেন, ‘‘শ্যামলী ওই তাঁবুতে একাই থাকত। গ্রামের মানুষের কাছে চেয়েচিন্তে খাবার জোগাড় করত। গত কয়েক দিন তাঁকে এলাকায় সে ভাবে দেখা যায়নি। রবিবার সন্ধ্যায় এলাকায় পচা গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় সকলের সন্দেহ হয়। তখনই তাঁবুতে দেখা যায় তাঁর দেহ পড়ে রয়েছে। পরে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’’ প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই ব্যক্তির স্বাভাবিক ভাবেই মৃত্যু হয়েছে। শ্যামলী সাঁতরার মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।