তিন দিনের মজুরি আনতে ২৫ কিমি পাড়ি

বাড়ির কাছে ব্যাঙ্ক থাকা সত্ত্বেও ছুটতে হচ্ছে প্রায় পঁচিশ কিলোমিটার। একশো দিনের কাজের পারিশ্রমিক, ইন্দিরা আবাস যোজনার টাকা, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, কন্যাশ্রীর টাকা— সমস্ত কিছুর জন্যই অযোধ্যা পাহাড়তলির বাসিন্দাদের যেতে হচ্ছে ঝালদা শহরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝালদা শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৬ ০১:১১
Share:

বাড়ির কাছে ব্যাঙ্ক থাকা সত্ত্বেও ছুটতে হচ্ছে প্রায় পঁচিশ কিলোমিটার। একশো দিনের কাজের পারিশ্রমিক, ইন্দিরা আবাস যোজনার টাকা, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, কন্যাশ্রীর টাকা— সমস্ত কিছুর জন্যই অযোধ্যা পাহাড়তলির বাসিন্দাদের যেতে হচ্ছে ঝালদা শহরে। এলাকায় ব্যাঙ্ক থাকলেও তার ‘সার্ভিস এরিয়া’ বদলে গিয়েছে। এখন ঝালদা ১ ব্লকের মাঠারি-খামার এবং ইচাগ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সরকারি টাকা মেলে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ঝালদা শহরে চালু হওয়া নতুন শাখা থেকে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এত দিন ওই এলাকার বাসিন্দারা সরকারি টাকা পেতেন ইচাগের একটি রাষ্টায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা থেকে। মাঠারি-খামার এলাকার লুসকুডি গ্রামের শশীভূষণ মাহাতো জানান, সরকারি টাকা আনতে একদিন ইচাগে গিয়ে জানতে পারেন ‘সার্ভিস এরিয়া’ বদলে গিয়েছে। ওই এলাকারই উহাতু গ্রামের বাসিন্দা অজিতকুমার মাহাতোর বলেন, ‘‘পাহাড়তলির জিলিংসেরেং, ডাকাই, খামার বা পাঁড়রি, এঁদেলডি, ডাকাই, উহাতুর মতো দূরের গ্রাম থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদেরও ঝালদা ছুটতে হচ্ছে। তিন দিনের কাজের মজুরি আনতে এক বেলার কাজ নষ্ট করতে হচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত নয়। ফলে সবাই খুবই অসুবিধায় পড়ছেন।’’

ফের ইচাগ থেকে পরিষেবা চালু করার দাবিতে সম্প্রতি স্থানীয় বিধায়ক নেপাল মাহাতোর দ্বারস্থ হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন বিধায়কও। তিনি বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষকে অন্ধকারে রেখে হঠাৎ কেন ব্যাঙ্কের সার্ভিস এরিয়া বদলে ফেলা হল তা প্রশাসনের কাছে জানতে চেয়েছি।

Advertisement

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটির ইচাগ শাখার ম্যানেজার অভিষেক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিষয়টি আমাদের এক্তিয়ারে নেই। সার্ভিস এরিয়া বদলের ব্যাপারটা আমাদের শুধু জানানো হয়েছে।’’ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের সার্ভিস এরিয়ার বিষয়টি একটি বৈঠকে ঠিক হয়। সেখানে ব্যাঙ্কের কর্তা এবং প্রশাসনের প্রতিনিধিরা থাকেন। প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, ঝালদায় নতুন চালু হওয়া শাখাটিকে পরিষেবা দেওয়ার সুযোগ করে দিতেই তার সার্ভিস এরিয়ায় ওই এলাকাগুলি নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে বিডিও (ঝালদা ১) পূর্ণদেব মালাকার বলেন, ‘‘মাঠারি-খামার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে অভিযোগ পেয়েছি। অত দূরের একটি ব্যাঙ্ক থেকে পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। কী ভাবে এটা হল জানি না। গত মাসের শেষে এই সংক্রান্ত বৈঠকে বিষয়টি তুলে সার্ভিস এরিয়া বদলের দাবি জানিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন