সরোজিনী দেবী সরস্বতী শিশু মন্দির স্কুলের অনুষ্ঠান।
কী করে ওদের বোঝাই
রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতে দেখলেই আমার কিছু বন্ধু পিছনে লাগে। ওরা বলে, ‘‘কেন শুনিস এই সব একঘেয়ে গান!’’ কী করে ওদের বোঝাই! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান যে আমার ভীষণ প্রিয়। শুধু গান কেন, রবীন্দ্রনাথের কবিতা-গল্প-উপন্যাস-নাটক, সবই আমার কাছে একটা বড় ‘রিফ্রেশমেন্টে’র জায়গা। এই অভ্যেসটা কিন্তু আমার বাবার জন্যই হয়েছে। আমাদের বাড়িতে প্রচুর রবীন্দ্রনাথের বই, গানের সম্ভার। বাবা খুব যত্ন করে সেগুলি সংগ্রহ করেছেন। সেই ছোটবেলা থেকে পাঠ্য বইয়ের বাইরে সেই সব আমার চারপাশেই ছিল। যত বড় হয়েছি, একটু একটু করে বুঝতে শিখেছি। ততই সে সব আমার আপন হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সিলেবাসের বইগুলি পড়তে পড়তে যখন ক্লান্তি আসে, তখনই রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা বা অন্য বইগুলি আমার সঙ্গী ওঁর হয়ে ওঠে। এত বড় ভাণ্ডার উনি, এত আধুনিক, এত সর্বকালীন! শুধু ক্লান্তি বা মনখারাপের সময় নয়, খুব আনন্দের সময় কিংবা নিজে প্রকাশ করতেও সবার আগে ওঁর কথাই মাথায় আসে।
নীলাংশু চট্টোপাধ্যায়
ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র
ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।