Satabdi Roy

‘স্বামীকে ফিরিয়ে দিন’! ‘দিদির দূত’ শতাব্দীর কাছে কাঁদতে কাঁদতে আর্জি বীরভূমের বধূর

বৃহস্পতিবার নলহাটির পাইকপাড়া গ্রামে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে যান শতাব্দী। সেখানে ‘দিদির দূত’ হিসাবে গ্রামের বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। সেখানেই ওই অনুরোধ আসে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নলহাটি শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:২৮
Share:

শতাব্দী রায়কে কাছে পেয়ে ‘নিখোঁজ’ স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানালেন এক বধূ। নিজস্ব ছবি।

শুনতে গিয়েছিলেন গ্রামবাসীদের অভাব-অভিযোগের কথা। জানতে চাইছিলেন, এলাকায় ঘরদোর, জল বা রাস্তাঘাটের সমস্যা আছে কি না। সেখানেই বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে কাছে পেয়ে ‘নিখোঁজ’ স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে বসলেন এক বধূ!

Advertisement

বৃহস্পতিবার নলহাটির পাইকপাড়া গ্রামে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে যান শতাব্দী। সেখানে ‘দিদির দূত’ হিসাবে গ্রামের বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। এমন সময়ে আচমকা এক মহিলা অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে সাংসদের কাছে এসে হাজির হন। জানান, গত দু’বছর ধরে ‘নিরুদ্দেশ’ তাঁর স্বামী। মাঝেমধ্যে ফোন করেন বটে, কিন্তু বাড়ি ফেরেন না। তাঁর আর্জি, স্বামীকে যে কোনও প্রকারে তাঁর কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।

শতাব্দীর প্রশ্নের জবাবে মহিলা জানান, তাঁর নাম দীপ্তি মণ্ডল। তিনি পাইকপাড়া-কামারপাড়ার বাসিন্দা। দীপ্তির কথায়, ‘‘আমার স্বামীর নাম শ্রীকান্ত মণ্ডল। দু’বছর ধরে আমার স্বামী বাড়ি ফেরেননি। আমি শ্বশুরবাড়িতেই থাকি। আমাদের এক ছেলেও রয়েছে।’’ বলতে বলতেই কেঁদে ফেলেন দীপ্তি। বলেন, ‘‘স্বামী ছাড়া এ ভাবে বাঁচা যাচ্ছে না! আগেও বেশ কয়েক বার বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু ফিরে এসেছেন কিছু দিনের মধ্যেই। এ বার আর ফেরেননি।’’

Advertisement

শ্রীকান্তের ‘চারিত্রিক সমস্যা’ রয়েছে বলে দাবি করে ওই বধূ জানান, স্বামীর খোঁজ পেতে তিনি পুলিশেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। এর পরেই দলীয় এক নেতাকে দীপ্তির বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন শতাব্দী। দীপ্তিকে সান্ত্বনা দিয়ে সাংসদকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ফোনটোন যখন করে, তা হলে নিশ্চয়ই খুঁজে পাওয়া যাবে। পুলিশ দেখবে বিষয়টা।’’

গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে পরে শতাব্দী বলেন, ‘‘আমি কথা বলেছি ওই মহিলার সঙ্গে। খুবই কাঁদছিলেন উনি। কিন্তু স্বামী যদি ওই রকম হয়, তা হলে কী করে হবে! তা-ও আমার যা যা করণীয়, আমি করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন