মুরারইয়ে আক্রান্ত পুলিশ

বালিভর্তি ট্রাক্টরের ধাক্কায় বালকের মৃত্যু

তিন দিনের মধ্যেই ক্ষুব্ধ জনতার হাতে আক্রান্ত হল পুলিশ। ঘটনাস্থল আবারও মুরারই থানা এলাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মুরারই শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:৪০
Share:

তিন দিনের মধ্যেই ক্ষুব্ধ জনতার হাতে আক্রান্ত হল পুলিশ। ঘটনাস্থল আবারও মুরারই থানা এলাকা।

Advertisement

শুক্রবার দুপুরে ঝাড়খণ্ড সীমান্ত এলাকার মুরারই থানার বড়ুয়া গ্রামে বেআইনি বালিভর্তি ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মত্যু হয় ৮ বছরের এক বালকের। কার্তিক মাল নামে ওই বালকের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের মহেশপুর থানার জয়পুর গ্রামে। খবর পেয়ে দেহ আনতে মুরারই থানার এক পুলিশ আধিকারিক-সহ পাঁচ জন পুলিশ এলাকায় পৌঁছলে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের উপরে চড়াও হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, ক্ষুব্ধ জনতার তাড়া খেয়ে পুলিশ মাঠ দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে মহুরাপুর গ্রামে আশ্রয় নেয়। ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেয় বলেও অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী পুলিশ সন্ধ্যা পর্যন্ত দেহ আনতে পারেনি।

দিন তিনেক আগে মুরারই থানার হাবিশপুর মোড়ে এক পেট্রোল পাম্পের মালিকের টাকা, মোবাইল ও মোটরবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশের উপরে চড়াও হয়েছিল উত্তেজিত জনতা। সে সময় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগও ওঠে। ওই ঘটনায় পুলিশের এক পুলিশ কর্মী জখম হন। তার মধ্যেই আবারও একই থানা এলাকায় আক্রান্ত হল পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডের বাঁশলৈ নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি তুলে বীরভূমের মুরারই থানার কানাইপুর, মহুরাপুর, রাজগ্রাম হয়ে মুর্শিদাদাবাদে পাচার করা হচ্ছে। পুলিশ সে সব জেনেও ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকায় ক্ষোভ রয়েছেই। তার মধ্যেই বালিভর্তি গাড়ির চাকায় শিশু মৃত্যুর খবর আগুনে যেন ঘি ফেলে। এলাকাবাসীর দাবি, বালি পাচারের জেরে এলাকায় দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। কিন্তু, পুলিশ হাত গুটিয়ে রয়েছে। মাসখানেক আগে মুরারই থানার মহুরাপুরে বালিভর্তি ট্রাক্টরের ধাক্কায় এক জনের মত্যু হলেও পুলিশ যে নড়েচড়ে বসেনি, এ দিনের ঘটনাই তার প্রমাণ।

পরিবার সূত্রের খবর, এ দিন বাবা শালটু মালের সাইকেলে চেপে কার্তিক মহুরাপুর থেকে জয়পুর গ্রামের বাড়িতে ফিরছিল। বড়ুয়া গ্রামের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক আসা বালিভর্তি ট্রাক্টরের ধাক্কায় সাইকেল নিয়ে শালটু একদিকে পড়ে যান, অন্যদিকে পড়ে যায় কার্তিক। তার উপর দিয়েই চলে যায় ট্রাক্টর। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তার। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী সঙ্গে সঙ্গে ট্রাক্টর চালককে ধরে ফেলে স্থানীয় একটি ক্লাব ঘরে আটকে রাখে। সেই খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ পৌঁছলে আক্রান্ত হয় বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন