নলহাটিতে প্রচারে অধীর

একাধিক প্রকল্পের নাম পরিবর্তনের প্রসঙ্গে কেন্দ্র ও রাজ্যকে বিঁধে অধীর বলেন, ‘‘কংগ্রেস কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন থাকার সময়ে ‘রাজীব আবাস যোজনা’ থেকে ‘খাদ্য সুরক্ষা আইনে’র মতো ২৩টি প্রকল্প চালু করেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৭ ০১:৪৭
Share:

পথে: প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে দিয়েই নলহাটি পুরভোটের প্রচার শুরু করল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথম পথসভাটি হয় নলহাটি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চালবাজার এলাকায়। এ দিন অধীরের বক্তব্যের আগাগোড়াই ছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এবং বর্তমান রাজ্য সরকারের সমালোচনা। নলহাটিকে ‘কংগ্রেসের ঘাঁটি’ বলে উল্লেখ করে পুর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের জেতানোর আর্জিও রাখেন।

Advertisement

একাধিক প্রকল্পের নাম পরিবর্তনের প্রসঙ্গে কেন্দ্র ও রাজ্যকে বিঁধে অধীর বলেন, ‘‘কংগ্রেস কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন থাকার সময়ে ‘রাজীব আবাস যোজনা’ থেকে ‘খাদ্য সুরক্ষা আইনে’র মতো ২৩টি প্রকল্প চালু করেছিল। সেই সব নাম মোদী সরকার পাল্টে দিয়েছে। তেমনই দিদির সরকারও রাজ্যে আবার তার নাম বদলে দিয়েছেন।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির টিপ্পনি, ‘‘গ্রামে যাকে ডিমভাজা বলে শহরে সেটাই অমলেট। এমন হাস্যকর ভাবেই নাম পাল্টানো হয়েছে।’’ রাজ্যে যতটা শিল্প বা বিনিয়োগ এসেছে বলে দাবি করা হয়, আদৌ কতটা এসেছে কি— সেই প্রশ্নও তোলেন অধীর।

দার্জিলিংয়ের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও মমতার সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। অধীরের কথায়, ‘‘আজ পাহাড় দিদির হাতছাড়া হচ্ছে দেখেই দিদি বলছেন বাংলাকে ভাগ হতে দেব না।’’ নলহাটি পুরসভা এখন তৃণমূলের দখলে রয়েছে। তাতে কাজের কাজ কতটা হয়েছে, পুরবাসীকে তা বুঝে নিতে বলেন। একই সঙ্গে আর্জি, ‘‘নলহাটি কখনও কংগ্রেসকে ফেরায়নি। ভোটে আমাদেরে সঙ্গে থাকুন।’’

Advertisement

চালবাজার এলাকার সভার পরে তিনি ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পথসভা করেন। অধীর ছাড়াও ছিলেন জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি, জেলার একমাত্র কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদ। জিম্মি ও মিল্টনের বক্তব্যেও পুরসভার কাজ, নানা দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। প্রত্যেক সভাতেই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement