অযোধ্যা পাহাড়

কেন্দ্রে তালা দিয়ে বিক্ষোভ

বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে খাবার হোটেল চালাত সমবায়। তা বন্ধ করে অন্য এক ব্যক্তিকে ওই কেন্দ্র তুলে দিচ্ছে প্রশাসন। এমন দাবি করে ওই কেন্দ্রে তাঁদেরই হোটেল খুলতে দেওয়া হোক বলে অবস্থানে বসলেন অযোধ্যা পাহাড়ের বিভিন্ন গ্রামের স্বনির্ভর দলের সদস্যেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঘমুণ্ডি শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৩১
Share:

কেন্দ্রে তালা।— নিজস্ব চিত্র।

বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে খাবার হোটেল চালাত সমবায়। তা বন্ধ করে অন্য এক ব্যক্তিকে ওই কেন্দ্র তুলে দিচ্ছে প্রশাসন। এমন দাবি করে ওই কেন্দ্রে তাঁদেরই হোটেল খুলতে দেওয়া হোক বলে অবস্থানে বসলেন অযোধ্যা পাহাড়ের বিভিন্ন গ্রামের স্বনির্ভর দলের সদস্যেরা। শুক্রবার বাঘমুণ্ডি ব্লকের অযোধ্যা পাহাড় হিলটপের ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দরজায় তাঁরা তালাও ঝুলিয়ে দেন।

Advertisement

অযোধ্যাপাহাড়ের হিলটপে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অদূরে বাঘমুণ্ডি ব্লক প্রশাসনের বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে স্থানীয় একটি সমবায় খাবারের হোটেল চালাত। সেখানে পর্যটকেরাও আসতেন। সমবায়ের তরফে অপূর্ব মুখোপাধ্যায়ের দাবি, পাঁচ বছরের লিজ নিয়ে তাঁরা হোটেল চালাচ্ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ১০ মাস যেতে না যেতেই সপ্তাহ দুয়েক আগে বাঘমুণ্ডির বিডিও আমার কাছে ওই কেন্দ্রের চাবি ফেরত চান। বিডিওকে প্রশাসনের দেওয়া অনুমতিপত্র দেখিয়েও লাভ হয়নি। চাবি জমা দিয়েছি।’’ তিনি বিষয়টি জেলাপ্রশাসনকে জানিয়েছেন।

এ দিকে এই ঘরটি সমবায়ের বদলে কোনও এক ব্যক্তিকে দেওয়া হচ্ছে বলে রটে যায়। শুক্রবার ওই কেন্দ্রের সামনে আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের স্বনির্ভর দলের মহিলারা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা দরজায় তালাও ঝুলিয়ে দেন। এক মহিলা স্বনির্ভর দলের নেত্রী অলকা লায়া বলেন, ‘‘এখন বিভিন্ন স্বনির্ভর দল খাবারের ব্যবসা করছে। তাহলে আমাদের বঞ্চিত করে কেন সরকারি এই ঘর অন্য কাউকে দেওয়া হবে? এখানে আমরাই হোটেল খুলব।’’ বিক্ষোভে সামিল হওয়া অন্যান্য স্বনির্ভর দলের সদস্য জিতমণি লোহার, মঞ্জু কৈবর্ত, লক্ষ্মী লায়ার কথায়, ‘‘আমরা এতদিন ধরে দল তৈরি করেছি। তেমন ভাবে কোনও কাজ পাইনি। আমরা এখানে খাবারের দোকান চালাব।’’ তাঁদের দাবি, ব্লক অফিসে গিয়ে বিডিও-র সঙ্গে দেখা না হওয়ায় তাঁরা এই কেন্দ্রে অবস্থানে বসেছেন।

Advertisement

চেষ্টা করেও বাঘমুণ্ডির বিডিওর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। মহকুমাশাসক (পশ্চিম) সুমনা মণ্ডল বলেন, ‘‘কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ জেলা স্বনির্ভর দল ও স্বনিযুক্তি প্রকল্প আধিকারিক অমল আচার্য বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে বিডিওর সঙ্গে কথা বলব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন