মেধাবী: অনুকথা খান। নিজস্ব চিত্র
রিভিউয়ে ছয় বেড়ে মোট নম্বর হল ৪৮০। আর তাতেই উচ্চ মাধ্যমিকের রাজ্যওয়াড়ি ফলের নিরিখে মেধা তালিকার প্রথম দশে ঢুকে পড়ল কীর্ণাহারের বাসিন্দা অনুকথা খান।
বীরভূম জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কীর্ণাহারের পশ্চিমপট্টির বাসিন্দা অনুকথা এ বার বোলপুরের টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের অ্যাকাডেমিয়া স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৭৪ নম্বর পেয়েছিল। ওই নম্বরের নিরিখে জেলায় মেয়েদের মধ্যে সে দ্বিতীয় হয়। কিন্তু, ভিস্যুয়াল আর্টে পাওয়া ৮৮ নম্বর তার মনোঃপুত হয়নি। তাই সে ওই বিষয়ে রিভিউ করে। রিভিউয়ে ৬ নম্বর বেড়ে হয় ৯৪। আর তারই জোরে জেলায় যুগ্ম প্রথম এবং রাজ্যের মেধা তালিকায় দশম হল অনুকথা। রামপুরহাটের সৌরীশ বন্দ্যোপাধ্যায় ৪৮০ নম্বর নিয়ে জেলায় একক ভাবে প্রথম স্থান হয়েছিল। এ বারে যোগ হোল অনুকথার নামও।
বৃহস্পতিবার বিকেলে স্কুলের মাধ্যমে ওই খবর পৌঁছয় অনুকথার বাড়িতে। তারপরই খুশির হাওয়া বয়ে যায় পরিবারে। অনুকথার বাবা অশেষবাবু পেশায় চিকিৎসক, মা লিলিদেবী গৃহবধূ। তাঁরা বলছেন, ‘‘প্রথমেই এই নম্বরটা এসে গেলে আনন্দ আরও বেশি হত। কেননা, প্রত্যাশিত নম্বর না পাওয়ায় হতাশ মেয়েকে সান্ত্বনা দিতেই কেটে গিয়েছে কয়েক’টা দিন। তবুও শেষ পর্যন্ত ভাল খবরটা এল।’’
আর অনুকথা?
বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান এই কৃতী কিন্তু বাবার মতো ডাক্তার হতে চায় না। সে চায় আইএএস, আইপিএস অফিসার হতে। ভূগোল নিয়ে ভর্তি হয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। অনুকথার কথায়, ‘‘ওই পেশাটা আমার কাছে অনেক চ্যালেঞ্জিং বলে মনে হয়।’’